চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রাউজানে কোটি টাকায় ১০১টি ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’

জাহেদুল আলম, রাউজান

২৩ অক্টোবর, ২০২১ | ১:৪৭ অপরাহ্ণ

এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি মানে আধুনিক, সৃষ্টিশীল এক রাজনীতিক। তাঁর সাগরসম দূরদৃষ্টি, ভিন্ন ধারার চিন্তা-চেতনা আর রাজনীতিক নেতৃত্বে পাল্টে যাচ্ছে রাউজান। তাঁর একের পর এক দৃষ্টিনন্দন ও ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে রাউজান পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের বুকে এক অনন্য উপজেলায়।

ইতিপূর্বে একঘণ্টায় ৪ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি বৃক্ষ-ফলদ চারা রোপণ, উপজেলা-পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে নিজস্ব জায়গায় স্বতন্ত্র ‘আওয়ামী লীগের দলীয় ভবন’ নির্মাণ করে সারা বাংলাদেশে দলের মধ্যে নজির স্থাপন করেছেন তিনি। তাঁর ভিন্নধারার উদ্যোগে এবার যোগ হলো জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’। এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি উপজেলায় ১০১টি ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ স্থাপন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

এক উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর এতোগুলো মূর‌্যাল স্থাপন সারাদেশের মধ্যে প্রথম দৃষ্টান্ত বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এমপির একান্ত ইচ্ছা, আর্থিক এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, দলীয় কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, থানা, পুলিশ ক্যাম্প, দুই পিংক সিটি, শেখ কামাল কমপ্লেক্স, বিদু্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দৃশ্যমান পয়েন্টে এসব ম্যুরাল স্থাপন অনেক আগেই শেষ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঢুকতে বা সড়কপথে যাওয়ার সময় চোখ আটকে যায় এসব দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের দিকে। এসব ম্যুরাল এখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মূল ‘স্থান’ এ পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবসসহ নানা জাতীয় কর্মসূচিতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে স্থাপন করা ম্যুরালে ফুল নিয়ে ছুটে যান দলীয় নেতাকর্মীসহ সরকারি-বেসরকারি, বিভিন্নস্তরের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একেকটি ম্যুরালের স্কোয়ার ফুট ২০ থেকে প্রায় ৭০ পর্যন্ত। এসব ম্যুরালে বিশেষভাবে ও নানা রং-বেরংয়ের টাইলস্ধসঢ়; সংযুক্ত বা কারুকাজে সুনিপণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি। একই ডিজাইনের ম্যুরালগুলোর দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে চট্টগ্রাম নগরীর স্বনামধন্য শৈল্পিক প্রতিষ্ঠান ‘দ্যা বিঞ্চী’। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্য বলেন- ‘দেড়বছর আগে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল তৈরির কাজ শুরু করি। ১৭-১৮ জন আর্টিস্ট একসঙ্গে শহরের স্টুডিওতে কাজ করেন। পরে ম্যুরালগুলো নির্দিষ্টস্থানে স্থাপন করা হয়। ৫-৬ মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ করা হয়’। তিনি আরো বলেন ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’র নির্মাণ কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। ১০১টি ম্যুরাল সারাদেশের মধ্যে রাউজানেই প্রথম হলো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন- ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণিত করবে।

রাউজান পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন- এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ১০১টি ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ স্থাপন করে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সুমন দে বলেন- একেকটি ম্যুরাল নির্মাণে আকারভেদে ব্যয় হয়েছে প্রায় লাখ টাকা বা তার বেশি। সেই হিসেবে ১০১টি ম্যুরাল নির্মাণে খরচ হয়েছে কোটি টাকার বেশি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট