চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নতুন ক্যাম্প নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা উখিয়ায়

কায়সার হামিদ মানিক হ উখিয়া

৩ জুলাই, ২০১৯ | ১:৫২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী ১৯নং ক্যাম্প সংলগ্ন লন্ডাখালীর বনভূমির বিশাল এলাকা জুড়ে নতুন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় ও সৃজিত বাগান উচ্ছেদ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান বললেন, বির্তকিত ওই ক্যাম্প নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৪ শতাধিক বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী আবুল আজম (৪৫), সুরুত আলম (৩৫), সুজন (১৮) ও মাহবুবুল আলম (২৫) সহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এনজিও সংস্থা একতা ও মুসলিম হ্যান্ডস প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় শতাধিক পরিবারে শত বছরের ভোগ দখলীয় ফলজ, বনজ বাগান উচ্ছেদ করে সেখানে

রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করেছে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, কতিপয় এনজিও সংস্থা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা রোহিঙ্গাদের ইন্ধন যোগাচ্ছে তারা যেন মিয়ানমারে ফিরে না যায়। পাশাপাশি নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওইসব এনজিওগুলো দীর্ঘ সময় দাতা সংস্থা প্রদত্ত অর্থকড়ি লুটপাট করতে পারে।
তিনি বলেন, লন্ডাখালী এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণ করা হলে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বাধা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ নং ক্যাম্প ইনচার্জ আবু ওয়াহাব রাশেদ জানান, ক্যাম্পে যাতায়াত সুবিধার উন্নয়নের জন্য এডিবি সড়ক নির্মাণ করলে অসংখ্য বাড়িঘর সরিয়ে নিতে হবে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন করে বাড়িঘর তৈরি করে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় বাগানের ব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, ‘সেখানে আগের কোনপ্রকার স্থাপনা বা বাগানের অস্থিত্ব বলতে কিছুই ছিলো না। সম্পূর্ণ একটি পরিত্যক্ত বনভূমিতে এ বাড়িগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।’
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, ‘রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছে। এরই মধ্যে এডিবি ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ক্যাম্পে উন্নয়ন কাজ করবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন করে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ক্যাম্পে কিছু করলে এনজিওরা তাকে জানায় না। তাই ১৯ নং ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে ক্যাম্প নির্মাণের ব্যাপারে তার জানার কথা নয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট