চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাঁশখালীর খানখানাবাদে ইয়াসের প্রভাবে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব

বাঁশখালী ও সন্দ্বীপে উপকূলীয় বাঁধের ৬ কি.মি. ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মে, ২০২১ | ১২:৫০ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁশখালী, সন্দ্বীপ ও আনোয়ারা উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধের বড় ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে বাঁশখালী ও সন্দ্বীপ এলাকায় ৬ কিলোমিটার বাঁধ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আনোয়ারার সাঙ্গু নদীতে জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সাগর উপকূলীয় বাঁধের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-২) নাহিদ-উজ-জামান খান পূর্বকোণকে বলেন, সন্দ্বীপ ও বাঁশখালীতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ১৬ পয়েন্টে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুই অঞ্চলে বাঁধের ৬ কিলোমিটার অংশ ধসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য জরুরিভিত্তিতে পুনর্বাসনের জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই পুনর্বাসনের কাজ শুরু করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বাঁশখালীতে ৫ দশমিক ৬শ মিটার ও সন্দ্বীপে ৪শ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্র্র্র্র্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বাঁধ উপছে পড়ে। পানির তোড়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে স্থায়ী বাঁধের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের। নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, স্থায়ী বাঁধের বড় ক্ষতি হয়নি।

জোয়ারের প্রভাব আম্পানের চেয়েও বেশি ছিল। তাই বাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। তিনি বলেন, ৭০ ও ৮০ দশকের বাঁধ। বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে স্থায়ী বাঁধের তেমন ক্ষতি হয়নি। উপকূলীয় এলাকা আনোয়ারা উপজেলার বেড়িবাঁধও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাঁধ ডিঙিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। পানির প্রবল আঘাতে বাঁধের ক্ষতি হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-১) তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, সাঙ্গু নদীর কোস্টগার্ড এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। তবে জিও ব্যাগ ফেলে জরুরিভিত্তিতে পানি ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চলমান প্রকল্পে জরুরিভিত্তিতে পুনর্বাসনের প্রয়োজন থাকে না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা তা সংস্কার করার নিয়ম রয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদাররা’।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পওর রাঙামাটি বিভাগ তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউদ্দিন আরিফ পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ কাজ হচ্ছে পাহাড়ি এলাকায়। তাই ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়নি। তবে রাঙ্গুনীয়া উপজেলার বেতাগি এলাকায় একটি মসজিদের নিচ অংশ থেকে মাটি সরে গেছে। দ্রুত তা সংস্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করা হবে’।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট