চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কাস্টম কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময়ে বিজিএমইএ

রপ্তানিতে গতি না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে তৈরি পোশাক শিল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুন, ২০১৯ | ২:১১ পূর্বাহ্ণ

তৈরি পোশাক রপ্তানি কার্যক্রম গতিশীল করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলমকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়। বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে পণ্যের দরপতন, বিদেশি ক্রেতার পরিদর্শন সংস্থা একর্ড ও এলায়েন্সের সংস্কার কর্মসূচি প্রতিপালন, শ্রমিকদের মজুরি ৫১ শতাংশ বৃদ্ধিসহ নানা অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এমনিতেই লিডটাইম বা উৎপাদন সময়ের জন্য আমরা প্রতিযোগী অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে আছি, তদুপরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রপ্তানিতে ব্যর্থ হয়ে স্টকলটসহ অর্ডার বাতিলের কারণে রুগ্ন শিল্পে পরিণত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় সম্প্রতি আমদানি করা মালামাল ছাড়করণে কাস্টমস কর্তৃক কাপড় রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পরীক্ষণ, ফার্স্ট এপ্রেইজমেন্ট প্রদান, এআইআর কর্তৃক বিন লক বা চালান আটক, ফ্রি অব কস্টে চালান ছাড়করণে দীর্ঘসূত্রিতা, কম্পোজিট প্রতিষ্ঠানের কেমিক্যাল ছাড়করণে অনীহাসহ বিভিন্ন জটিলতায় প্রচুর সময়ক্ষেপণসহ হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইজি অব ডুয়িং বিজনেসে বিশ্বে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৭তম। এ অবস্থা উন্নীতকরণে বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি

কার্যক্রম সম্পাদন ৪ দিন ও রপ্তানি সম্পাদনে ৩৬ ঘণ্টা নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কাস্টম হাউসে বর্তমান জটিলতার ফলে রপ্তানিতে বিঘœ সৃষ্টি হয়ে পোশাক শিল্প পিছিয়ে পড়ছে।
তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি করা পণ্য চালান ছাড়করণে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য কমিশনারকে অনুরোধ জানান এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন।
কাস্টম কমিশনার মো. ফখরুল আলম দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, পোশাক শিল্পের রপ্তানিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাস্টম কার্যক্রম সহজীকরণ পূর্বক আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি করা চালান দ্রুত ছাড়করণে বিদ্যমান জটিলতা দ্রুত নিরসন করাসহ একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করার আশ্বাস দেন।
কাস্টম কমিশনার বলেন, সৎ ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দান, কাস্টম হাউসে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।
সভায় বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সহসভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক এ এম মাহাবুব চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাইফ উল্লাহ মনছুর, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন, কাজী মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাবকে পরিচালক লিয়াকত আলী চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কাস্টম কমিটির চেয়ারম্যান ইশতিয়াক রহমান, সদস্য শাহ নেওয়াজ, এসএম শফিউল করিম, এসএম আল মাসুম, আবদুল আলীম আরিফ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট