চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

মার্কেটে লুকোচুরির বিকিকিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক 

২৩ এপ্রিল, ২০২১ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যে নিত্যপণ্য ছাড়া সব ধরনের দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তবে সরকারি এই নির্দেশনা না মেনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মার্কেট খুলে বিকিকিনি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার সিটি করপোরেশন মার্কেট এবং হক মার্কেট খোলা দেখা গেছে। স্থানীয় পুলিশকে ’ম্যানেজ’ করে মার্কেট খুলেছেন বলে দৈনিক পূর্বকোণকে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খোলা ছিল মুরাদপুর ও চকবাজারের কয়েকটি মার্কেটও।

লকডাউনের মধ্যেও খোলা দেখা গেছে টেরিবাজার ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের কয়েকটি মার্কেট। এছাড়া আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া ও পতেঙ্গা এলাকায় মার্কেট খুলে বিকিকিনি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় মার্কেট খোলা রাখায় কয়েকজন দোকানিকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মার্কেট ছাড়া নগরীর অলি গলির দোকানগুলোও খোলা ছিল গতকাল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘চোর পুলিশ’ খেলে অলি গলির দোকান খোলা রাখেন ব্যবসায়ীরা।  কিছু কিছু এলাকায় চলে আড্ডাবাজিও।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে চলাচলে বিধি নিষেধ দেওয়া শুরু করে সরকার। ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়। ২০ এপ্রিল আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এ সময় অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের বাইরে না আসতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও গতকাল বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের জটলা দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্যবাহী যানবাহনের সঙ্গে সরকারি নির্দেশনা না মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচলও শুরু হয়েছে। নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় এম্বুলেন্সে করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

কঠোর লকডাউন চললেও গত কয়েকদিনের মতো গতকালও সড়ক ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ছিন্নমূল ও গরিব লোকজন ত্রাণের আশায় এবং নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে বের হন। মুভমেন্ট পাস ছাড়া সাধারণ মানুষের ঘরের বাইরে না আসার নির্দেশনা থাকলেও অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হন সড়কে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট