চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ও জনবসতি হুমকির মুখে

বালু উত্তোলনে ভাঙন রাউজানে

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাউজান

২৫ জুন, ২০১৯ | ১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ইজারা এলাকার বাইরে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে জনবসতিও হুমকির মুখে। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোন কার্যকরী প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ কারণে নদী-তীরবর্তী মানুষগুলো প্রতিদিন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ইজারা এলাকার বাইরে পার্শ্ববর্তী অন্য মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে করে সদ্য স্থাপিত বেড়িবাঁধ, সরকারি স্থাপনা ও জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে জরুরি ভিত্তিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ওইসব চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
একটি সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক থেকে চলতি বছর ১০ এপ্রিল ১৪২৬ বাংলা সনের ১ বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র ১৪২৬ বাংলা সন পর্যন্ত চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া মৌজার ৪০ একর বালুমহালের ইজারার কার্যাদেশ পায় একটি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন কৌশলে কর্ণফুলী নদীর নোয়াপাড়া মৌজা সীমানার বাইরে পার্শ্ববর্তী অন্য মৌজা থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
জানা যায়, রাউজান উপজেলার পাঁচখাইন, কখনো বাগোয়ান আবার কখনো পার্শ¦বর্তী বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ মৌজা থেকে বালু উত্তোলন চলছে। পুরো কর্ণফুলী নদী দখল করে বিভিন্ন স্থান থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় উভয় পাড়ের তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ও সরকারি স্থাপনা এমনকী জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে। এতে চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেকোন সময় নির্মিতব্য বেড়িবাঁধের ব্লক মারাত্মকভাবে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নদ-নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী রাউজান ও বোয়ালখালীবাসীর পক্ষে বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত, ইজারা এলাকার বাইরে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে ভাঙনে ভূমি হারাবে স্থানীয়রা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট