চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইউনিসেফ’র অর্ধ-বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার

দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটবে

২০ জুন, ২০১৯ | ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন বলেই আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন, সমুদ্রসীমা জয়, পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণসহ অসংখ্য বড়-ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। চলমান রয়েছে অসংখ্য মেগা ও মিনি প্রকল্প। বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু, শিক্ষার হার, বিদ্যুৎ উৎপাদন, মাথাপিছুু আয়, স্বাস্থ্য সেবার মান ও নারী-পুরুষের ক্ষমতায়ন। হ্রাস পেয়েছে মাত ৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার। দেশের ৬৪ জেলার মানুষকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। অন্যান্য জেলার ন্যায় তিন পার্বত্য জেলা যথাক্রমে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, ওয়াশ, স্যানিটেশন, হাইজিন বিষয়ে কাজ করতে সরকারের স্বাস্থ্য, সমাজ কল্যাণ, স্থানীয় সরকার,মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাথে বেসরকারী সংস্থা ইউনিসেফ অত্যন্ত কার্যকরভাবে কাজ করছে। সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নসহ নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সকলে সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমাদেরকেও সততার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলে সরকারের ভিশন আগামী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে। গতকাল ১৯ জুন সার্কিট হাউসে বিভাগীয় কমিশনার অফিস আয়োজিত ইউনিসেফ’র অর্ধ-বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও ইউনিসেফ’র কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফিসার আম্বারিন খানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর ও ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগীয় হেড অব জোন মাধুরী ব্যনার্জী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক নুসরাত সুলতানা। বিস্তারিত তুলে ধরেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা.আবদুস সালাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. জান-ই আলম, ইউনিসেফ’র মনিটরিং অফিসার গাজীউল হাসান মাহমুদ, ইউনিসেফ’র ডা.তাহমিনা বানু, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের ডা. ইউ বা সুই চৌধুরী, নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ প্রজ্ঞা মত্মমা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের সাফিনা নাজনীন, ইউনিসেফ’র শিক্ষা কর্মকর্তা আফনান বানু, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইদুর রহমান, ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা ফ্লোরা জেসমিন দীপা ও বেতারের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট