চট্টগ্রামের যুগ্ম-জজ সরকার কবির উদ্দিনকে হাইকোর্টে তলব
উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী ৩১ মার্চ হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী আছরারুল হক জানান, পাঁচলাইশ এলাকার একটি জমি নিয়ে হাটহাজারীর ফরাহাদাবাদের ফারুক আহমেদের ছেলে মাহাফুজুর রহমানসহ চারজন চট্টগ্রামের আদালতে একটি ঘোষণামূলক মামলা করেন। মামলাটি চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন। একই ঘটনায় পাঁচলাইশের তাজুল ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের অন্য আদালতে করা আরেকটি মামলা বিচারাধীন। তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক সরকার কবির উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন মামলার তথ্য জানতে পেরে বেলাল হোসেনরা তার আদালতে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ২৯ মে চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ সরকার কবির উদ্দিন এ আবেদন খারিজ করে দেন। পরে একই সালের ২৭ আগস্ট ওই আদেশের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চলমান মামলার ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের এ আদেশের কপি দাখিল করা হলেও তা ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট আদালত নথিভুক্ত করে রাখেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। একই সালের ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া আদেশের কপিও ওই আদালতে দাখিল করা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে দরখাস্ত দিয়ে বার বার জানালেও মামলার কার্যক্রম চলমান রাখেন সংশ্লিষ্ট আদালত। আবেদনকারীরা মোকাদ্দমার প্রয়োজনীয় কোনো পক্ষ না হওয়ায় তাদের দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন এবং মামলা স্থগিতের বিষয়ে দরখাস্ত আগের আদেশ অনুসারে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় নামঞ্জুর করেন। পরে উচ্চ আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগ এনে আবেদনকারীরা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। ওই আবেদনের বিষয়ে চট্টগ্রামের আদালতে দরখাস্ত করে জানালেও মামলার কার্যক্রম চলমান রেখে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করতে আদেশ দিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আছরারুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আমিনুর রহমান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পূর্বকোণ / আরআর