টেকনাফের কলেজপাড়ায় নিজ মেয়েকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করায় মায়ের বিরুদ্ধে মেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। টেকনাফ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কলেজপাড়া এলাকার রাবিয়া বশরি নামে এক নারী নিজ বাড়িতে জমজমাট পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসায়িদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে।
জানা যায়, রাবিয়া বশরি নামে এক নারী টেকনাফ পৌরসভার প্রভাবশালীর স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেও নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন মিনি পতিতালয়। দীর্ঘদিন
ধরে তিনি টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন হোটেল ও কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি কটেজ ও ফ্লাটে নিয়মিত মেেেয়দের সরবরাহ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কটেজ ও ফ্লাটে অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে তার রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় ‘নানী’ হিসাবেও তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। অপরদিকে তার নামে মাদকদ্রব্য বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে। টেকনাফ পৌরসভার কয়েকটি হোটেল থেকে থানা পুলিশের অভিযানে বেশ কিছু পতিতাদের আটক করা হলেও পতিতাদের নানী খ্যাত রাবিয়া বশরি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকার যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে তার মেয়ে আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তাকেও শারিরীকভাবে নির্যাতন করতে হয়। এবিষয়ে রোকসানা আকতার ৪ মার্চ টেকনাফ মডেল থানায় হাজির হয়ে মায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। যা বর্তমানে টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী রোকসানা আকতার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মায়ের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন হুমকি এমনকি যদি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাকেও নাকি তার (মায়ের) অনৈতিক কাজের সহযোগী হিসেবে দাবি করবেন।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ পৌরসভার কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অপরাদে প্রায় অর্ধ শতাধিক যৌনকর্মীকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। নিয়মিত অভিযান চলছে, চলবে। রাবিয়া বশরি ওরফে নানীর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।