চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সীতাকু-ে ব্যবসায়ীর ৩০ লাখ টাকা আত্মসাত করে ম্যানেজার উধাও

নিজস্ব সংবাদদাতা হ সীতাকু-

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সীতাকু-ে এক ব্যবসায়ীর ৩০ লাখ টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে অফিস ম্যানেজার। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সীতাকু-ের বাড়বকু-ে অবস্থিত জে.কে স্টিল নামক একটি রি- রোলিং মিলসে ৭ বছর ধরে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাট জাহানাবাদ গ্রামের মৃত মাহবুবুল আলমের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২২)। এখানে চাকরি করতে গিয়ে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটির মালিক মীর

মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের আস্তা অর্জন করলে মালিক তার উপর অন্ধ বিশ^াস রেখে তার মাধ্যমে যাবতীয় অর্থ লেনদেন করতেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেলোয়ার কৌশলে প্রতিষ্ঠানের ৩ মাসের গ্যাস বিল পরিশোধ না করে ১২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০৯ টাকা, ৪টি ডিপিএসের টাকা জমা না দিয়ে ৫ লাখ ২০ হাজার ৮১০ টাকা ও এক বছরের ঘরের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলের ১২ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৮১ টাকাসহ মোট ৩০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। সম্প্রতি দেলোয়ারের এই টাকা আত্মসাত করার বিষয়টি মালিক জানতে পারার পর তাকে (দেলোয়ার) জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে টাকা ফেরত দেবার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তার ভাই মো. সাইফুল (২৬), মা ছেনোয়ারা বেগমসহ মোট ৯ জন এই টাকা ফেরতের জিম্মাদার হয়ে দেলোয়ারকে নিয়ে যান।

কিন্তু এরপর টাকা ফেরত না দিয়ে দেলোয়ার আত্মগোপন করেন। ফলে তাকে প্রধান আসামি করে গত সোমবার রাতে জে.কে স্টিলের মালিক মীর মোহাম্মদ

জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে সীতাকু- থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন তার ভাই সাইফুল, মা ছেনোয়ারা বেগম, মো. শফিউল আলম ভোলা, মো. শামছুল আলম, মো. আলম, মো. জানে আলম, বানু বেগম ও মো. ফাহিম।

এ বিষয়ে জে.কে স্টিলের মালিক মীর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, তার ভাই ও মায়ের অনুরোধে মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে আমি চাকরি দিয়েছিলাম। ৫ বছর চাকরিতে সে বিশ^স্ততার প্রমাণ দেয়। সম্প্রতি আমি হিসেব করে দেখি মোট ৩০ লাখ টাকা সে আত্মসাত করেছে। মামলার অন্য আসামিরা এই টাকার জিম্মাদার হয়ে তাকে নিয়ে গিয়ে এখন অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করেছি।
সীতাকু- থানার ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক জানান, মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট