পরিবেশ দূষণের উপকরণ পরিত্যক্ত প্লাস্টিক নির্ধারিত স্টোরে জমা দিলেই মিলছে নিত্যপণ্য। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের আর্থিক সহযোগীতায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন চালু করেছে ‘প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর’। যেখানে প্রান্তিক মানুষ কুড়ানো বা জমানো প্লাস্টিক জমা দিলে পাওয়া যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। প্লাস্টিক দূষণ রোধে সারাদেশে ‘প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর’ চালু করছে এই প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন মকবুল প্রাইমারি স্কুল মাঠে এই কাযক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষক ড. শ্যামল কর্মকার।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের অস্তিত্বের হুমকি হচ্ছে প্লাস্টিক। যে কোনো সমস্যা সমাধানে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়া সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। নদীমাতৃক এই দেশের প্রাণপ্রবাহ বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন প্রাণীকুলকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। এই পৃথিবীকে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য রাখতে হলে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা এতই ব্যাপক যে এটি সরকারের একার পক্ষে রোধ করা একেবারেই অসম্ভব। এই দূষণ কমাতে দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা। তাই মানুষকে সম্পৃক্ত করতেই আমরা সারাদেশে প্লাস্টিক এক্সেঞ্জ স্টোর চালু করছি। আজ চট্টগ্রাম থেকে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এটি চালু করার ব্যাপারে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/এএইচ