চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

আনোয়ারায় আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে মানুষ

আনোয়ারা সংবাদদাতা

১৩ মে, ২০২৩ | ৯:২৮ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের মানুষ। বিপদ সংকেত বাড়ার সাথে সাথে আতঙ্কও বাড়ছে মানুষের মাঝে। উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপির সদস্যরা মানুষকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে মাইকিং করে প্রচার করছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির পক্ষে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিন শরীফ ১০টি জীপগাড়ি দিয়ে বিকেল ৩টা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।

 

এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

 

সরেজমিনে রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, রায়পুর উচ্চ বিদ্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্র, রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্র, পূর্বগহিরা মুজিব কিল্লা, কোস্টগার্ড আশ্রয়কেন্দ্রে দুপুর থেকে লোকজন গরু-ছাগল ও মালামাল নিয়ে আশ্রয় নেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাই সব চেয়ে বেশি। গহিরার সাগর পাড়ের লোকজন মাছ ধরার জাল ও সরঞ্জাম নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে দেখা যায়।

 

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত বাড়ার পর রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন। এ সময় ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছের, স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিন শরীফসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

 

চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, শনিবার সকাল থেকেই উপকূলের মানুষদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করেছি। বিকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির পক্ষে ১০টি জীপগাড়ি দেওয়া হয়েছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও চিকিৎসক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট