গার্মেন্টসে যাওয়া আসার সূত্রে পোশাককর্মী কানিজের (২০,ছদ্মনাম) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বাস হেলপার মো. ফারহাদের (২১)। তিন মাসের মাথায় এক পর্যায়ে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ড্রাইবার মো. দিদারসহ (৪০) ধর্ষণ করে তাকে । চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা এই যুবতীর দায়ের করা মামলায় শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ধর্ষক মো. ফারহাদ ও মো. দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হেলপার ফারহাদ ভোলা জেলার লালমোহন থানা ও ড্রাইবার মো. দিদার নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম কানিজ (২০) নিজে বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর চান্দগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় একটি মামলা করেন। মামলায় বাসের হেলপার মো. ফারহাদ (২১) ও ড্রাইবার মো. দিদারকে (৪০) আসামি করা হয়।
থানায় করা মামলার এজহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ইপিজেড থানার ফ্রি-পোর্ট ইউনিবো গার্মেন্টসে চাকরি করেন। বাসে করেই তিনি চাকরি স্থলে যাওয়া আসা করেন। এই যাওয়া আসাকালে গত ৩ থেকে ৪ মাস আগে বাসের হেলপার মো. ফারহাদের সাথে তার পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাকে বাসের হেলপার বিয়ের কথা বলে গত ২৫ অক্টোবর ফুসলিয়ে তাকে ওসমানিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরি এলাকার বাসায় নিয়ে গিয়ে ড্রাইবার ও হেলপার দুইজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গত ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ ধর্ষণ চালিয়ে যান তারা। এজহারে ভুক্তভোগী আরও উল্লেখ করেন, এক পর্যায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর ঘটনাস্থল থেকে তিনি কৌশলে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।
পূর্বকোণ / আরআর