এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাইশ (কার্প) জাতীয় মা মাছের প্রায় ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। যা ১০-১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আহরণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার দিকে জোয়ারের সময় মা-মাছের কিছু নিষিক্ত ডিম বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা পেলেও শুক্রবার (২২ মে) সকাল থেকে পুরোদমে ডিম ছাড়ে বড় বড় মা-মাছগুলো।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে হালদা থেকে ৭ হাজার কেজি, ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৮০ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল। সচরাচর ৪০-৬০ কেজি ডিম থেকে এক কেজি রেণু হয়। এটি নির্ভর করে ডিম সংগ্রহকারীদের তৎপরতা, আবহাওয়া, লবণাক্ততার পরিমাণ, তাপমাত্রা, অভিজ্ঞতা, পরিচর্যা ও পরিবেশের ওপর। চার দিন পর রেণু উৎপাদনের বিষয়ে আমরা স্পষ্ট ধারণা পাবো।
রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর বলেন ‘সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর তিনটার পর পর্যন্ত কমপক্ষে রাউজান-হাটহাজারীর ৬শ ১৫জন ডিম সংগ্রহকারী নদী থেকে মা মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করেছেন। একেকজন ডিম সংগ্রহকারী কয়েক কেজি করে ডিম পেয়েছে।’ তিনি জানান, এবার নদীতে ডিম পাওয়ার পরিমাণ গতবছরের চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবার হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা ইত্যাদি এলাকায় ডিম পাওয়া গেছে বেশি।
পূর্বকোণ/ এএ