চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

৩০ জুন, ২০১৯ | ১১:২৬ অপরাহ্ণ

সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রবিবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে একটি কমিটি করে, তার মাধ্যমে নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
আগামী ৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
প্রসঙ্গত, সন্তান প্রসবের সময় প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গত ২৫ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এ রিট দায়ের করেন।

প্রসঙ্গতঃ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ বলছে, বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। বিষয়টিকে ‘অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার’ উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, এতে মা-বাবাদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে খরচের ভার বহন করতে হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশি মা-বাবারা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে খরচ করেছেন প্রায় চার কোটি টাকার বেশি। জনপ্রতি গড়ে তা ছিল ৫১ হাজার টাকার বেশি। সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানের হার বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক হারে বেশি। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যত শিশু জন্ম নেয়, তার ৮০ শতাংশই হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।সংস্থাটি বলছে, ২০১৮ সালে যত সিজারিয়ান হয়েছে, তার ৭৭ শতাংশই চিকিৎসাগতভাবে অপ্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু তারপরও এমন সিজারিয়ান হচ্ছে। এমন প্রবণতার জন্য সংস্থাটি আংশিকভাবে বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা খাতের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছে। বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং নবজাতক ও মাতৃ-স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ইশতিয়াক মান্নান বলছেন, ‘চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সুবিধা আসলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে না গিয়ে অস্ত্রোপচার করতে অনুপ্রাণিত করে।’

 

পূর্বকোণ/ সাইফুল

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট