চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

টাঙ্গাইলে গণধর্ষণ মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

১৫ অক্টোবর, ২০২০ | ২:০২ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় অপহরণের পর মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় দণ্ডিত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাগর চন্দ্র, সুজন মনি ঋষি, রাজন, সঞ্জিত এবং গোপি চন্দ্র শীল। রায় ঘোষণার সময় সঞ্জিত ও গোপী চন্দ্র শীল উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ভূঞাপুরে এক নারীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

২০১২ সালে সাগর শীলের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভূঞাপুরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি সাগর ভূঞাপুর এসে ওই ছাত্রীকে কৌশলে মধুপুরে নিয়ে যান। মধুপুরের চারালজানি গ্রামে রাজনদের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চান সাগর। কিন্তু বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সাগর তাকে ধর্ষণ করেন। পরে সেখানে মেয়েটিকে আটকে রাখা হয়। ১৭ জানুয়ারি রাতে মধুপুরে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে মেয়েটিকে সাগরসহ পাঁচজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরদিন (১৮ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে তার অভিভাবকরা এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। ওইদিনই (১৮ জানুয়ারি) ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের দিনই পুলিশ আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করে। সুজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে অন্য  আসামিরাও গ্রেফতার হন।

তদন্ত শেষে ভূঞাপুর থানার পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।  

উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্বাক্ষর শেষে অধ্যাদেশ জারি হয়।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট