চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ভিপি নূরের স্ত্রী

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ভিপি নূরের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৫:১১ অপরাহ্ণ

ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা-আটক ও মুক্তির বিষয়ে তার স্ত্রী মারিয়া আক্তার লুনা মুখ খুলেছেন। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান লুনা।

এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এটা মিথ্য মামলা, একটা ষড়যন্ত্র। এটা আমি কেন, আপনারও জানেন। যারা নিয়ে এসেছে (পুলিশ সদস্যরা) তারাও জানে। কী হয়েছে দেশবাসী জানে, সবাই জানে।’

এ সময় লুনা নূরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ঘৃণ্য ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে চিনি। সে ছোটবেলা থেকে কোন ধরনের, কোন প্রকৃতির তা আমি জানি। ও কখনোই এ ধরনের কাজ করতে পারে না এবং এটা তো সাপোর্ট করার কোনো ধরনের প্রশ্নই আসে না। ওর মন মানসিকতা, ওর মেন্টালিটি এমন না। ওর একটা মেয়ে আছে। আমার সবচেয়ে কষ্টের জায়গা এটাই- অভিযোগকারী মেয়েটা ওর বিরুদ্ধে এমন একটা অভিযোগ করেছে যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এটা সম্পূর্ণ মানুষের প্ররোচনায় পড়ে করা হয়েছে।’

এমন অভিযোগের কারণে তার পরিবারকে ছোট হতে হচ্ছে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়া লুনা বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বছরের সংসার জীবন, আমি কি বলতে পারব না আমার স্বামী কেমন? আমার আসলে কোনো ভাষা নাই, আমি বলতে পারছি না এমন একটা মিথ্যা, এমন গুজব, এমন একটা মামলায় ওকে (নূর) ফাঁসানো হয়েছে। আমি এমন পরিস্থিতির শিকার কখনোই হই নাই। আমি কখনো ভাবি নাই আমাকে এভাবে মিডিয়ার সামনে আসতে হবে।’

নুরের স্ত্রী আরও বলেন, ‘ওকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা আমি, আমার সন্তান লাইভ দেখছি। আমার সন্তান তখন দরজার কাছে গিয়ে বলছে বাবা আসছে, বাবা আসছে। এটা অন্যায়।’

লুনা বলেন, ‘কোনো কিছুই জানানো হয়নি। ওকে নিয়ে আসা হলে বলেছে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করানো হবে। কিন্তু মিথ্যা বলে ওকে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে নিয়ে গেছে। গাড়ি দেখে তখন বুঝেছি যে পুলিশ ওকে নিয়ে যাচ্ছে। ও এমনিতেই শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ, কয়েকবার ওকে মারা হয়েছে। ওর বুকের পাজরে সমস্যা আছে, মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ে ফ্র্যাকচার। আমিও আওয়ামী পরিবারের একজন সন্তান এভাবে আমাকে আমার পরিবারকে এভাবে মিডিয়ার সামনে আসতে হবে, ছোট হতে হবে আমি ভাবি নাই। এটা মিথ্য মামলা, একটা ষড়যন্ত্র। মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় নূরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এই মামলার প্রতিবাদে নূর ও তার সহযোগীরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় মামলার অভিযুক্তদের রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। রাত ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়ার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে নূর ও তার সহযোগী সোহরাবকে ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় নূরকে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে গাড়ির সামনে বসে স্লোগান দেন। এ সময় নূরের স্ত্রী তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে গাড়ির সাথে ঝুলে পড়েন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে নূরকে নিয়ে যায়। সবশেষে রাত পৌনে ১টার সময় ডিবি পুলিশের কার্যালয় থেকে নূরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট