চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মেজর সিনহা হত্যা: আদালতে ৪ পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

মেজর সিনহা হত্যা: আদালতে ৪ পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

কক্সবাজার সংবাদদাতা

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৭:০৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা হত্যার দায় স্বীকার করেছে পুলিশের অপর ৪ সদস্য। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড সম্পন্ন হয়

জবানবন্দি দেয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খায়রুল ইসলাম বলেন, এই চার আসামি রিমান্ডে হত্যা সম্পর্কে আমাদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছিল। একই স্বীকারোক্তি আদালতের কাছেও দেন তারা। এ পর্যন্ত ১২ জন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আদালতের আদেশ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের এই চার সদস্যকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে র‌্যাব। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) চার দিনের রিমান্ড শেষে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয় তারা। পরে তাদের আদালতে আনা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর আগে উক্ত মামলায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়। লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও প্রদীপ দেননি। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এর আগে এপিবিএন’র ৩ সদস্যসহ এ পর্যন্ত আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোট ১২ জন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। সিনহা হত্যার পর পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি। এ নিয়ে মোট ১৩ আসামি কারান্তরীণ রয়েছেন।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরাফাত-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট