একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হয়েছে। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) করোনাভাইরাস পরিস্থিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।
অধিবেশনের শুরুতে সভাপতিমণ্ডলী নির্বাচন করা হয়। এরা হলেন আ স ম ফিরোজ, মোতাহার হোসেন, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কাজী ফিরোজ রশিদ ও শিমিন হোসেন রিমি।
অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ এবারও সীমিত রাখা হচ্ছে। আগের দুটি অধিবেশনের মত প্রতিদিন ৭০ থেকে ৯০ জন সদস্য অংশ নেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়। অসুস্থ এবং বয়স্ক সদস্যদের অধিবেশনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখা হবে।
আর যারা অংশ নিচ্ছেন, তারা করোনাকালীন সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নিচ্ছেন। অধিবেশন কক্ষের আসন বিন্যাসও আগের দুটি অধিবেশনের মত দূরত্ব বজায় রেখে করা হয়েছে।
এবারও গণমাধ্যমকর্মীদের সরাসরি সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংসদ কার্ড ইস্যু করা হয়নি। গত দুটি (সপ্তম ও অষ্টম) অধিবেশনের মত নবম অধিবেশনও সংবাদকর্মীদের সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ১৯ আগস্ট নবম অধিবেশন আহ্বান করেন। সংসদের বিগত অষ্টম অধিবেশন গত ৯ জুলাই শেষ হয়। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের দুটি অধিবেশনের মধ্যবর্তী বিরতি ৬০ দিন। এ সময়ের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা আছে।
এর আগে চলতি বছরের মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সপ্তম ও অষ্টম অধিবেশন শেষ হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনের আগে ১৮ এপ্রিল সপ্তম অধিবেশনের মেয়াদ ছিল মাত্র এক দিন। ওই দিন মাত্র দেড় ঘণ্টায় অধিবেশন শেষ হয়, যা ছিল ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম অধিবেশন।
গত ১৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন।
পূর্বকোণ/পিআর