মহামারি করোনার এই ক্রান্তিকালে যেসব যুবক করোনায় স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিসহ মানবিক সহায়তা কাজে অংশ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাদেরকে পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৬ আগস্ট) যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি মূলত ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হচ্ছে যাতে যুবকরা আরো বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে ভালোভালো কাজ করে।
ভার্চুয়াল এ সভায় যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ মানব সভ্যতাকে এক নির্মম বাস্তবতার মুখে দাঁড় করিয়েছে। সন্তান তার অসুস্থ পিতাকে হাসপাতালে রেখে চলে যাচ্ছে। পরিবার পরিজনরা করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ গ্রহণ করছে না। কিন্তু এই দুঃসময়েও আমাদের যুবসমাজ ও স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এসেছেন। তারা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে থেকে সেবা করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন কাফনে সহায়তা করেছেন। আমাদের জাতীয় জীবনের যে কোনো সঙ্কটে, যে কোনো ক্রান্তিকালীন সময়ে এই যুবকরাই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আর তাই করোনাকালীন এ অনিশ্চিত সময়ে যারা সচেতনতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাদেরকে আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে পুরস্কৃত করতে চাই।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে আবেদন পত্র আহবানের মাধ্যমে দশটি সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে যাচাই বাছাই পূর্বক দশজন যুবককে কোভিড-১৯ যুব পুরস্কার প্রদান করা হবে। বিজয়ী দশজন ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের ভলান্টিয়ার ক্যাম্পে সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন বলে জানা যায়।
পূর্বকোণ/এএ