চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

'দারিদ্র্যের কাতারে যুক্ত হয়েছে আরও ১ কোটি ৬৪ লাখ নাগরিক'

‘দারিদ্র্যের কাতারে যুক্ত হয়েছে আরও ১ কোটি ৬৪ লাখ নাগরিক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন, ২০২০ | ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে করোনার প্রভাবে দেশে ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কাতারে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস)। এই পরিস্থিতিতে সরকার দারিদ্র্য হ্রাসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি করোনার সময়ে শহরের শ্রমিকের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ এবং গ্রামীণ শ্রমিকের আয় কমেছে ১০ শতাংশ। আজ বুধবার (২৪ জুন) বিআইডিএস’র এক ওয়েবিনারে এই তথ্য জানানো হয়।

‘ইন দ্য শ্যাডো অব কোভিড কোপিং, অ্যাডজাস্টমেন্ট, রেসপনসেস’ শীর্ষক বিআইডিএসের এই ক্রিটিক্যাল কনভারসেশন্স ওয়েবিনারে বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো বিনায়ক সেন জানান, কোভিড-১৯-এর প্রভাব কাটাতে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন অর্থনৈতিকভাবে টেকসই নয়। এতে দারিদ্র্যের হার বাড়ার পাশাপাশি কোভিডের আগেই যাঁরা দরিদ্র ছিলেন, তাঁদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

বিনায়ক সেন বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে এই ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। দেশে এই ভাতা ও সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল মানুষ বাছাই করার প্রবণতার কারণে বরাদ্দ বাড়িয়েও লাভ হবে না। ফলে যাঁদের দরকার, তাঁদের অনেকেই তালিকায় ঢুকতেই পারেন না। দেখা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন ভাতা বিতরণে অদরিদ্র ও সচ্ছল মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশ, খাদ্যসহায়তার ক্ষেত্রে সেটা ৩২ শতাংশ, মাতৃত্বকালীন ভাতার ক্ষেত্রে ৪৪ শতাংশ, বৃত্তির ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ।

বিনায়ক সেন আরও বলেন, দেশে কোভিডের অভিঘাতে দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমে যাবে। এতে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার নির্ধারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তির স্বাস্থ্য ব্যয় হ্রাসে এই খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। একইসাথে সরকারকে অনুসরণ করতে হবে আরও সমতাভিত্তিক মডেল।

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট