আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অসহায়ত্ব এখন চরম সীমানায় গিয়ে ঠেকেছে। বর্তমানে অক্সিজেন সংকট চলছে সব হাসপাতাল। অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো সরকার নীরব কেন? সরকারের ভূমিকা কী? তদুপরি আগামী বাজেটে সরকার স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোই সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার কথা। সরকার সেই স্বাস্থ্য খাতকেই অবমূল্যায়ন করছে।
মঙ্গলবার (৯ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, করোনা শনাক্তের তৃতীয় মাসে এসে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের কারণে অনিশ্চিত এক বিভীষিকাময় শঙ্কায় নিমজ্জিত হয়েছে জাতি। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে না পারলে কোনোভাবেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য খাতে এহেন ঝুঁকি থাকলে অর্থনীতির স্বস্তির কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমরা মনে করি ৩ বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার আলোকে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মধ্য মেয়াদি বাজেট কাঠামোয় মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির সমন্বয়ে নতুন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। অর্থনীতির ক্রমহ্রাসমান সংকোচন রোধে কর্মসংস্থান ধরে রাখতে হবে, আয় সংকোচন রোধ করতে হবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, এই সংকটে মানুষের সার্বজনীন মৌলিক প্রয়োজনীয়তা যেমন – খাদ্য, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি প্রদানে সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ও মুদ্রানীতি সহজ করাসহ কিছু নীতি পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ‘সামাজিক নিরাপত্তা জাল’ নামে কিছু কর্মসূচি থাকলেও তা নিতান্তই অপ্রতুল। উপরন্তু এই কর্মসূচিটি উলঙ্গভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। জনসেবার খাতগুলােতে বরাদ্দ দিন দিন কমেছে। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের দুর্বলতাও করােনাকালে উন্মোচিত হয়েছে।