চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশের ইতিহাসের ব্যতিক্রমী সংসদ অধিবেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ এপ্রিল, ২০২০ | ৭:১৪ অপরাহ্ণ

মহামারি নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সারা দেশজুড়ে চলছে অঘোষিত লক ডাউন। আর এর মধ্যে সাংবিধানিক ‘নিয়ম রক্ষায়’ শুরু হলো জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন। আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এ অধিবেশন শুরু হয়।

আজকের সংসদ অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীসহ অধিবেশনে অংশ নেয়া  সব সদস্যই মাস্ক পরেছিলেন। কারো কারো মাথায় দেখা গেছে সার্জিকাল টুপিও।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে একজন থেকে আরেকজনের ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অধিবেশনে অংশ নেন তুলনামূলক কম সংখ্যক সদস্য। কোরাম পূর্ণ হওয়ার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন ৬০ জন বা তার সামান্য কিছু বেশি সদস্য সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন বলে আগেই সিদ্ধান্ত হয়।

দূরত্ব দেখা গেছে সংসদ কক্ষে আইনপ্রণেতাদের আসনের মাঝেও। এই কারণে সিনিয়র সংসদ সদস্য এবং ঢাকার বাইরে অবস্থানকারী সংসদ সদস্যদের উপস্থিত হতে আগেই নিরুৎসাহিত করা হয়। সংসদে প্রবেশের সময় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় বলেও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তুলে ধরেন। করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের জন্য তিনি শোক প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেও অধিবেশন আহ্বানের কারণ ব্যাখ্যা করেন স্পিকার। সম্ভাব্য সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর পরপরই স্পিকার নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংসদ অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন। পরে তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। এ অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন- আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ, এ বি তাজুল ইসলাম ও মেহের আফরোজ চুমকি। স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন মনোনীতদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন ।

এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সরকারি কর্ম কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। পরে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার। শোক প্রস্তাব উত্থাপনের পরেই স্পিকার সংসদ অধিবেশন সমাপনীর বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন।

অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবনে জনসমাগম এড়াতেও নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। খবর সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদে না যেতে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া অধিবেশনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের উপস্থিত না হতে নির্দেশনাও দেয়া হয়।

প্রসঙ্গতঃ সংসদের এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার সংসদ বসার বাধ্যবাধকতা সংবিধানে রয়েছে। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা ছিল।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট