চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পানছড়িতে তেঁতুলের বাম্পার ফলন
পানছড়িতে তেঁতুলের বাম্পার ফলন

জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশব্যাপী

পানছড়িতে তেঁতুলের বাম্পার ফলন

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি

২৩ মার্চ, ২০২০ | ৫:০২ অপরাহ্ণ

পানছড়ি উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেঁতুলের ফলন। চলতি মৌসুমে হয়েছে বাম্পার। যার ফলে উপজেলা ও জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছে এখানকার তেঁতুল।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, গাছে গাছে বাদুরঝোলার মতো ঝুলছে তেঁতুল আর তেঁতুল। গাছ থেকে সেসব নামিয়ে ছুলে ফেলা হচ্ছে বাকল। আর কেউ কেউ কলাপাতায় সাজিয়ে প্যাকেট করছে বাজারজাতের লক্ষ্যে। বিশেষ করে রবিবারে পানছড়ি বাজার, মঙ্গলবারে ভাইবোনছড়া ও বৃহস্পতিবারে লোগাং বাজারে গেলে দেখা মেলে কলাপাতায় মুড়িয়ে সাজানো তেঁতুলের স্তূপ। তা কিনতে পাইকারদের ব্যস্ততাও চোখে পড়ার মতো।

তেঁতুলের বড় পাইকার লিটন কর্মকার জানান, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সে তেঁতুল ক্রয় করে। ঢাকার কাওরানবাজার, শ্যামবাজার, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সে টনকে টন তেঁতুল সরবরাহ করে থাকে।

এ পর্যন্ত শুধু পানছড়িতেই ১৫ লক্ষাধিক টাকার অধিক লেনদেন হয়েছে। বছরধরে তেঁতুল ব্যবসায় জড়িত মোস্তফা, জুয়েল, আবছার, নবী, কাশেম জানান, দিন দিন তেঁতুলের ফলন বাড়ছে। তাছাড়া বিগত বছরের তুলনায় পানছড়িতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তাদের সবার লেনদেন প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অত্র উপজেলায় ফলন্ত ও অফলন্ত গাছের সংখ্যা প্রায় নয়শত। যা গত বছর ছিল প্রায় সাতশত। গাছপ্রতি ফলন প্রায় ১২০ কেজি। উপজেলা      কৃষি অফিসার আলাউদ্দিন শেখ জানান, তেঁতুলচাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই মাঝে কয়েকজন মিষ্টি তেঁতুল বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের সব ধরনের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দেবে কৃষি অফিস।

পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা জানান, তেঁতুলে রয়েছে পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। পাকা তেঁতুল সবচেয়ে বেশি       পুষ্টিসমৃদ্ধ। তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ অন্যসব ফলের চেয়ে অনেক বেশি। তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরল কমায়, মেদভুড়ি কমায়। স্কার্ভি, কোষ্ঠবদ্ধতা রোগ উপশমে এটা উপকারী।

এলাকার মুরব্বিরা জানান, একসময় তেঁতুল গাছের ছাল, ফুল, পাতা, বিচি সবই ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে এখন হয় কিনা জানেন না। উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, তেঁতুল চারা রোপণ করার পর কোন ধরনের পরিচর্যা লাগে না। যেকোন পরিবেশে এটি বেড়ে উঠে, যা কৃষকের জন্য লাভজনক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট