চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লামায় জামাই-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ৪

লামা সংবাদদাতা

১৩ অক্টোবর, ২০২০ | ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের লামায় জামাই-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে দু’পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার গাজীপাড়া আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শ্বশুরবাড়ির পক্ষের তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম নগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- শ্বশুর আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫৫), আরিফুল ইসলাম (৩০), হোসনে আরা (২২) ও জামাই শেখ মূসা (২৬)। আহত সকলে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীপাড়ার বাসিন্দা। ঘটনার পরপরই দ্রুত লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে উপস্থিত হয়।

লামা হাসপাতালের আরএমও ডা. রবিন বলেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক ও আরিফুল ইসলামের আঘাতে পরিমাণ গুরুতর। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শেখ মূসার অবস্থা তেমন খারাপ না হওয়ায় তাকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হোসনে আরা প্রতিবেদককে বলেন, রাত সোয়া ১০টার দিকে তার ছোট বোন মাসুরা বেগমের স্বামী শেখ মূসা তাদের বাড়িতে জায়গার কাগজের বাহানা দিয়ে এসে ঝগড়া সৃষ্টি করে। আমার বাবা স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানাতে ফোন করতে চাইলে মূসা তাকে মারধর শুরু করে। এর পরপরই মূসার বাবা শেখ মহসিন আসে। সে আসার পরই মূসা সবাইকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। ছুরি মূসা নাকি তার বাবা এনেছে তা আমরা অন্ধকারে দেখিনি। তবে আমার বাবা আবু বক্কর ছিদ্দিক ও স্বামী আরিফুল ইসলামকে মূসা ছুরি দিয়ে জখম করে। কিছুদিন আগে আমার ছোট বোন মাসুরা ও তিনদিন আগে আমার মাকেও মূসা লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। আজকে আমার মা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসে।

শেখ মূসা জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন জায়গার দলিল, মানিব্যাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড রেখে দেয়ার কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শেখ মূসা লামা হাসপাতালে ভর্তি আছে ও সে আমাদের জিম্মায় রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ/রফিক-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট