চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কর্ণফুলীর পাড় লিজ দিয়ে ব্যবসার সুযোগ কেন দিচ্ছেন: তাজুল ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক

৮ অক্টোবর, ২০২০ | ১:৪৫ অপরাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ কেন দিচ্ছেন আমি জানি না। মহিউদ্দিন সাহেব আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তার মধ্যে বেসিক দেশপ্রেম ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণাল উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ইকোনমিক হাব। সমুদ্রবন্দর গড গিফটেড। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালেই সিঙ্গাপুর হতো।
তাছাড়া, ঢাকার পাঁচটি নদী ও কর্ণফুলীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, অবৈধ দখল ও দূষণ বন্ধে কাজ করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।
তিনি আরও জানান, রাজস্ব আহরণ করে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর থেকে ট্রাক বের হয়ে সিটি করপোরেশনের সড়ক ব্যবহার করে। চসিককে তো কেউ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ফ্রি দিচ্ছে না। চট্টগ্রামের উন্নতির ক্ষেত্রে তাই আপস করা হবে না।

এছাড়া, স্থানীয় সরকারের করণীয় সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, মানুষের কল্যাণে যত কাজ সব স্থানীয় সরকার করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্টের বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। ধুলোবালিতে ভারী ধাতু উড়ছে। মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। সব ইউটিলিটি লাইনের জন্য সড়কের পাশে ঢাকনাযুক্ত লেন রাখতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অনেক স্লুইসগেট করা হবে। এমএস, জিএস শিট থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ড্রেন, কালভার্ট সঠিকভাবে করতে হবে।

এ আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস প্রমুখ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট