টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। এতে আয়েশা সিদ্দিকা (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া পাঁচজন আহত ও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১১টায় টেকনাফ নয়াপাড়া মুচনী ২৬ নম্বর ক্যাম্পের জি-২ ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়েশা সিদ্দিকা ক্যাম্পের জি-২ ব্লকের ইব্রাহিমের মেয়ে। তবে আহত ও নিখোঁজদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
২৬ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি বদরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত ১১টার দিকে ২৬ নম্বর ক্যাম্পের জি-২ ব্লকে আগুন লাগে। পরে রোহিঙ্গা ও ক্যাম্পের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনে একটি বসতঘরের ভেতরে পুড়ে শিশু আয়েশার মৃত্যু হয়। এছাড়া এ ঘটনায় পাঁচজন আহতসহ নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন।
২৬ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মোস্তাক আহমদ বলেন, ‘হতাহত ও নিখোঁজসহ আগুনে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। বিস্তারিত আরও তথ্যের জন্য আমরা কাজ করছি।’
টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ (যুগ্ম সচিব) আবদুল হান্নান বলেন, ‘ক্যাম্পে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গা, স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে গেছে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি।’
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, ‘ক্যাম্পে একটি ঘরে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের ঘর ও স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এপিবিএন পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শতাধিক বসতঘর ও নানা স্থাপনা ভস্মীভূত এবং এক শিশু মারা গেছে।’
পূর্বকোণ/এএইচ