চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রতিবছর বাড়ছে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ

অপার সম্ভাবনা কৃষিতে

সন্দ্বীপ সংবাদদাতা

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

সারাদেশে নগরায়ন এবং বাড়িঘর বাড়ার কারণে প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। তবে নতুন চর জেগে উঠার কারণে সন্দ্বীপে  প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিসে তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সন্দ্বীপ উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে প্রায় ২৪ হাজার ৯০০ হেক্টর। এরমধ্যে ধান চাষের জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর। বিভিন্ন প্রজাতির ধান ছাড়াও এখানে আলু, বাদাম, আখ, ডাল, সরিষা, তরমুজসহ বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল চাষাবাদ হয়ে থাকে। সন্দ্বীপে কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজার। এদের মধ্যে ভূমিহীন বর্গাচাষি ১১ হাজার ৫৮০ জন, প্রান্তিক চাষি ১৩ হাজার ৩৭০ জন, মাঝারি ধরনের চাষি ১১ হাজার ৫২৬ জন, ক্ষুদ্র চাষি ৪ হাজার ১৯৬ জন এবং বড় চাষির সংখ্যা প্রায় ১৯৮ জন। চাষাবাদের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে চাষাবাদ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এরমধ্যে সরকারি সুযোগ সুবিধা, উন্নত জাতের বীজ ও সার, সেচের অভাব। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, পরামর্শ ও শ্রমিক সংকট উল্লেখযোগ্য।

 

দুই দশক আগেও সন্দ্বীপে প্রায় ৭০ ভাগ লোক কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু ক্রমবর্ধমান নদী ভাঙ্গন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে নতুন বাড়িঘর নির্মাণ বাড়তে থাকায় কৃষি জমির পরিমাণ কমতে থাকে। চাষাবাদের জমি কমতে থাকায় জনশক্তি বিদেশমুখী হয়ে উঠে। ফলে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা কমতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সাগরের বুকে বিশাল চর জেগে উঠায় কৃষি জমির পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে।

 

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কৃষি জমির বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরকারি সুযোগ সুবিধা এবং কৃষি পরামর্শ ছড়িয়ে দেওয়া ও ফসলের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে সন্দ্বীপ আবারও কৃষিতে সমৃদ্ধ লাভ করবে।

 

মগধরা ইউনিয়নের আদর্শ পাড়া এলাকার প্রবীণ কৃষক মোহাম্মদ মুন্সি জানান, পানির অভাবে জমিতে বছরে মাত্র একবার চাষ করছি। সরকারি সুযোগ সুবিধা তো দূরে থাক কৃষি অফিসার কি রকম তা এতোদিন চাষাবাদ করার পরেও চোখে দেখিনি। তবে বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকি দিয়ে প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা তৃণমূল পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শসেবাসহ বীজ সার প্রদান করা হচ্ছে। তবে এখনো সেচের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসাইন জানান, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজ, সার ও ভর্তুকি দিয়ে নামমাত্র মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সকল কৃষকের ঘরে ঘরে সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট