চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

যে ৫ পরিকল্পনা কখনোই কার্যকর হয় না

৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:২২ পূর্বাহ্ণ

প্রতিটি বছরের শুরুতেই আমরা নতুন কিছু পরিকল্পনা করি, জীবনযাপনে ভালো এবং স্বাস্থ্যকর কিছু যোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু মজার বিষয় হলো পরবর্তীতে তার অর্ধেকও বাস্তবায়িত হয় না। যেকোনো নতুন অভ্যাসে জোর দেয়া কঠিন এবং তার সাথে লেগে থাকা আরও শক্ত। সুতরাং, বছরের শুরুতে করা সংকল্পগুলো মাঝপথে ছেড়ে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। জেনে নিন এমন পাঁচটি পরিকল্পনার কথা যা অনেক আগ্রহ নিয়ে শুরু করলেও শেষপর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয় না। এবার দেখুন তো, আপনি পারবেন কি না এই অভ্যাসগুলো ধরে রাখতে-

নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা
আমরা এটি প্রায়ই সংকল্প করি যে, এবার থেকে নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করবো। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ধরে রাখা সম্ভব হয় না। ঘর ভরে থাকে ধুলোবালি আর বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় জিনিসে। চাকরি, সংসার, সন্তান, অতিথি ইত্যাদি সামলাতে গিয়েই সমস্ত সময় খরচ হয়ে যায়। তবে প্রতিদিন যদি সম্ভব নাও হয়, সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ঘর পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন জিমে যাওয়া
ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে জিমে ভর্তি হয়ে শেষপর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেন না বেশিরভাগ মানুষই। বছরের শুরুতে যদিও ভেবে থাকেন, এবছর থেকে নিয়মিত জিমে যাবো, কিন্তু অধিকাংশ সময় তা মাঝপথে ছেড়ে দেন। জিমে না যাওয়ার জন্য নানা অজুহাতও জোগার করে ফেলেন। ফলে সময় এবং অর্থের অপচয় হয় খুব স্বাভাবিকভাবেই।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
আমরা সব সময়ই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কার্যকরী ডায়েট নিয়ে কথা বলি। এমনকী তা অনুসরণ করে চলারও চেষ্টা করি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কদিন পরে আর তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তখন স্বাস্থ্যকর খাবারের বদলে প্রচুর জাঙ্কফুড আমাদের খাবরের তালিকা দখল করে নেয়। একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা সহজ, তবে তা দীর্ঘসময় ধরে সম্ভব হয় না।

যথেষ্ট পানি পান
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পানের অসংখ্য উপকারিতার কথা আমরা জানি। প্রতি বছরের শুরুতে আপনার সংকল্পগুলোর মধ্যে নিশ্চয়ই এটিও থাকে যে, এখন থেকে প্রতিদিনই পর্যাপ্ত পানি খাবো। কিন্তু ক’দিন বাদেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যান। দিনশেষে পানির চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয় না। বরং পানির জায়গা দখল করে চা, কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরের জন্য সব সময় উপকারী নয়।

ছোট ছোট বিষয়ে
বিচলিত না হওয়া
প্রতিবছরই হয়তো সংকল্প করেন যে, এবার থেকে আর ছোট ছোট বিষয়ে বিচলিত হবো না। কারণ এটি আমাদের জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবু দিনশেষে তুচ্ছ বিষয়গুলোতেও আমরা ভেঙে পড়ি। উদ্বেগ এবং স্ট্রেস আমাদের কল্পনার চেয়েও বেশি ক্ষতি করে, তাই এজাতীয় জিনিসগুলোর দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার চেষ্টা করুন। এই অভ্যাস ধরে রাখতে পারলে তা আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।

– শর্মী দাশ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট