চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘বড় স্বপ্ন না থাকায় শেষ হয়ে যায় অনেক সম্ভাবনা’

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ

চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা প্লাটুনের দায়িত্বে দেশবরেণ্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এছাড়া দলের বোলিং কোচ হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার সৈয়দ রাসেল। তবে অনুশীলনে রাসেলের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের মতো বোলারদেরও পরামর্শ দিয়ে থাকেন সালাউদ্দিন। তার দল ঢাকা প্লাটুনের হয়ে এবার খেলছেন দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা, তেমনি আছেন তরুণ গতিতারকা হাসান মাহমুদও। মাশরাফিকে শেখানোর কিছুই নেই আর- বোলিং কোচ রাসেল তা অকপটেই স্বীকার করেছেন বিপিএল শুরুর আগে। তবে তরুণ হাসান মাহমুদ বা সালাউদ্দিন শাকিলদের নিয়ে বেশ নিবিড়ভাবেই কাজ করছেন সালাউদ্দিন-রাসেলরা। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বেশ আলোচনা চলছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা, রংপুর রেঞ্জার্সের মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, ঢাকা প্লাটুনের হাসান মাহমুদের ব্যাপারে। তরুণ বয়সেই দারুণ গতি ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং আশা জাগাচ্ছে বড় কিছুর। ঢাকা প্লাটুনের কোচ সালাউদ্দিনও চান বড় কিছু করুক দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতেরা। তবে সেক্ষেত্রে তাদের স্বপ্নটা হতে হবে বড়। যথাযথ স্বপ্ন দেখতে না পারার কারণেই অনেক সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় বলে মনে করেন তিনি। নিজ দলের পেসার হাসান মাহমুদের ব্যাপারে বলতে গিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বড় স্বপ্ন দেখার দায়িত্বটা আসলে ওর একার না। যারা ওর আশপাশে আছে তাদেরও এ বিষয়টা দেখতে হবে। তারাই আসলে ওকে এ স্বপ্নটা দেখাবে। তাই আমার মনে হয় যে আশেপাশে যারা কাজ করবে, আমি হয়তো বা বিপিএলের পরে থাকবো না, তবে বোর্ডের অধীনে যারা আছে তাদেরকেই এই স্বপ্নটা দেখাতে হবে এবং তাকে সঠিক স্বপ্নটা দেখানো খুব বেশি জরুরী। কারণ আমার মনে হয়, এই স্বপ্ন না দেখার কারণেই আমাদের অনেক ছেলেদের অনেক বড় খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।’ তবে এক্ষেত্রে সামর্থ্য বুঝে স্বপ্ন দেখাটাও যে গুরুত্বপূর্ণ- এটিও মনে করিয়ে দেন দেশের অন্যতম সেরা এ কোচ। তার ভাষ্যে, ‘এখানে একটা বিষয় হলো, আপনি কতটুকু স্বপ্ন দেখাবেন, সেটাও আপনার বুঝতে হবে। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তার মধ্যে থেকেই সর্বোচ্চটা কতটুকু চ্যালেঞ্জিং হয়, সেটা যেন সে কষ্ট করে অর্জন করতে পারে- এমন হতে হবে। এমন স্বপ্ন দেখালে হবে না যে সারাজীবনেও সে এটা ধরতে পারবে না।’

সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখন ওদের গতি আছে ভালো। এটা আশা জাগানিয়া বিষয়। আমি মনে করি এখান থেকে গতির বিষয়টা ধরে রাখা উচিত। খেয়াল রাখা উচিত গতি যেন না কমে। আরও ট্রেনিং করলে, খাওয়া-দাওয়া ঠিকঠাক করলে, গায়ে যখন শক্তি বাড়বে- তখন আরও বাড়বে গতি। আমাদের এখন আসলে দরকার ১৪০ কিমির ওপরে বল করতে পারা বোলার। গতি বাড়িয়ে বোলিং করার মানসিকতাটা তাদের যেন কখনও না কমে। গতির সঙ্গে যেন আপোষ না করে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে ভবিষ্যত তো আর এখনই বলা যাবে না। ভবিষ্যত ভালো করতে তার নিজেরই চেষ্টা করতে হবে, নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে হবে। একইসঙ্গে ওর আশপাশে যারা আছে, তাদেরও ওর দিকে নজর রাখাটা খুব বেশি জরুরি।’-ইন্টারনেট

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট