চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ওল্ড ট্রাফোর্ড ও রিভার্সাইড ডারহাম -এর খুটিনাটি

স্পোর্টস ডেস্ক

২৬ মে, ২০১৯ | ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

প্রস্তুতি ম্যাচে আড়ালে নিজেদের সেরা একাদশ চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত অংশ নিতে ১০টি দেশ। আর আয়োজক ইংল্যান্ড-ওয়ালেস কর্মকর্তারা তাদের ভেন্যুগুলোর চূড়ান্তরুপ দিতে নিজেদের সঁপে দিয়েছেন। সবকিছুই প্রস্তুত, এখন শুধু অপেক্ষা ব্যাট বলের লড়াই শুরুর। ধারাবাহিক ভেন্যু পরিচিতির আজকের পর্বে থাকছে রিভার্সাইড ডারহাম ও ওল্ড ট্রাফোর্ড-এর খুটিনাটি।
রিভার্সাইড ডারহাম: ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাউন্টি ক্লাব ডাহামের এই নিজস্ব মাঠটি। ইতিপূর্বে ১৯৯৯ আইসিসি বিশ্বকাপে এই মাঠে ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড- নিউজিল্যান্ডসহ মোট তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপে এই মাঠে সর্বোচ্চ সংগ্রহ পাকিস্তানের ২৬১/৬। যে ইনিংসের মাধ্যমে ১৯৯৯ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ী হয়েছিল পাকিস্তান। ম্যাচে ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার ও আব্দুল রাজ্জাকের সমন্বয়ে গড়া তারকা খচিত বোলিং আক্রমণ বিভাগের সকলেই তিনটি করে উইকেট শিকার করেছিল। দর্শক ধারণক্ষমতা ২০ হাজার।
ওল্ড ট্রাফোর্ড : ম্যানচেস্টারের বিখ্যাত মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৫৭ সাল। কাউন্টি ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারের নিজম্ব এই ভেন্যুতে ২০১৯ বিশ্বকাপে একটি সেমিফাইনালসহ মোট ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের চির প্রতিদ্বন্ধী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটিও। এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও ব্যবহৃত হয়েছে বড় এই মাঠে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ড দুই বার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলেছে। ১৯৭৯ আসরে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে পরাজিত করেছেন। তবে ১৯৮৩ আসরে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয়েছে। ইংল্যান্ডে এটা দ্বিতীয় পুরাতন টেস্ট ভেন্যু। এখানে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৮৪ সালে। অতি সম্প্রতি ‘জেমস এন্ডারসন এন্ড’ নামে প্যাভিলিয়ন প্রান্তের নামকরণ করা হয়েছে । টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী জেমস এন্ডারসনের নামে নতুন এই নামকরণ করা হয়। দর্শক ধারণক্ষমতা ২২ হাজার।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট