চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বকাপের আন্ডারডগ ‘শ্রীলঙ্কা’

শিরোপার জন্য লড়বে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক

২৫ মে, ২০১৯ | ১:৩২ পূর্বাহ্ণ

দরোজায় কড়া নাড়ছে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরের দ্বাদশ আয়োজনটি এবার অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ড-ওয়ালেসে। অংশ নেবে ১০ দেশ। প্রতিটি দেশই তাদের সম্ভাব্য সেরা স্কোয়াড গঠন করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে নিজেদের সঁপে দিয়েছে। আর মাত্র ৫দিন পরই মাঠে গড়াবে আসরটি। তার আগে দলগুলোর সার্বিক অবস্থা জানতেই এই প্রতিবেদন। আজ থাকছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকা দলের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষন।
অস্ট্রেলিয়া: ক্রিকেট বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফলতম দল। টানা তিনবার সহ রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হলুদ-সবুজ জার্সিধারীরা। বরাবরের মতো এবারও বিশ্বকাপের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। টপ অর্ডারে এরন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজার মতো ফরমের তুংগে থাকার মতো তিন ব্যাটসম্যানের সাথে মিডল অর্ডারের জন্য আছে শন মার্শ ও ফ্যাভ ফোরের অন্যতম স্টিভ স্মিথ। ফিঞ্চ, ওয়ার্নার, স্মিথ এই ত্রয়ী নিজেদের দিনে যেকোনো বোলিং বিভাগের পায়ের তলার মাটি সরিয়ে দিতে পারে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচের হাল ধরতে পারে খাজা ও মার্শও। অলরাউন্ডার হিসেবে স্কোয়াডে রয়েছেন হালের অন্যতম সেরা স্পিন অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও পেস অলরাউন্ডার মার্কোস স্টইনিস। দুর্দান্ত হিটিং এবং ফিনিশের সামর্থ্য যার সহজাত,সাথে কাজ চালানোর মতো কার্যকরী লেগস্পিন করতে পারে ম্যাক্সওয়েল। বোলিং বিভাগে কখনোই কমতি রাখেনি অস্ট্রেলিয়া। বরং সবসময় একজন বোলার যেন বেশি নিয়ে খেলে থাকে ক্যাংগারুরা। এবারের স্কোয়াডে যেমন দুইজন অলরাউন্ডার ছাড়া স্পেশালিস্ট বোলারই আছে সাতজন। স্পিন বিভাগে একজন লেগ স্পিনার এডাম জাম্পা, অন্যজন অফ স্পিনার নাথান লায়ন রয়েছে স্কোয়াডে। এছাড়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে লায়নও। হঠাৎই ভয়ংকর হয়ে ম্যাচ চিনিয়ে আনার নজির আগেও দেখিয়েছে লায়ন।
শ্রীলঙ্কা: ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আন্ডারডগ হিসেবেই যোগ দিচ্ছে ১৯৯৬-এর চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের কারণে র‌্যাংকিংয়ে ৯ নম্বরে থাকা লংকানদের কাছে খুব বেশি কোনো প্রত্যাশা নেই। তবে মাঠের ভেতরে আর বাইরের নানা সমস্যায় জর্জরিত দলটার কাছ থেকে চমক প্রত্যাশা করছে লঙ্কান সমর্থকরা। ১৯৯৬ এডিশনের ট্রফিটা গিয়েছিল শ্রীলংকার ঘরে। ২০০৩-এ সেমিফাইনাল, ২০০৭ আর ১১-তে টানা দুবার রানার্স আপ। তারপর থেকেই লঙ্কান ক্রিকেটের দুঃসময় শুরু। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর সাঙ্গাকারা- জয়াবর্ধনে জেনারেশনের অবসর। ২০১৫ সালের পর ৬ জন অধিনায়ক পেয়েছে টিম শ্রীলঙ্কা। থিতু হতে পারেনি কেউ।
আর বিশ্বকাপের আগে সাত নম্বর হিসেবে দায়িত্বটা পেয়েছেন দিমুথ করুনারতেœ, চার বছরের বেশি সময় যার নেই ওডিআই খেলার অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে আন্ডারডগ হিসেবে যোগ দিচ্ছে করুনারতেœর শ্রীলঙ্কা। এতো হতাশার মধ্যেও লংকান সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপ ট্রফিটা সবাইকে চমকে দিয়েই জিতেছিল অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলঙ্কা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট