চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিপাত যাক, রেলের টিকিট কালোবাজারি

মাহবুব কবির মিলন

১১ এপ্রিল, ২০২৩ | ৭:৫৪ অপরাহ্ণ

সার্ভার সক্ষমতা বাড়ানো সত্বেও বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে এবার ঈদ যাত্রার অনলাইন টিকিটিং ব্যবস্থা পার হলো। এবার রেলের নতুন সংযুক্তি হচ্ছে, রাতে যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ।
বিভিন্ন সূত্রে আগেই খবর পেয়েছিলাম, কালোবাজারি এবং তাদের সহচরেরা অনলাইন টিকিটিং এবং এনআইডি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ট্রেনে যাত্রী পরিচয় নিশ্চিত করার উদ্যোগকে ভেস্তে দেয়ার জন্য,… কেউ টিকিট পায়নি, রেল এবং সহজ কারসাজি করে সব টিকিট সরিয়ে ফেলেছে, এমন একটা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনে লোক ভাড়া করে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তুলে দাবি তুলবে এই নতুন ব্যবস্থা বাতিলের। সাথে থাকবে কিছু পত্রিকা।
রেলের এই যাত্রী তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে ওদের ষড়যন্ত্র সম্পূর্ণ ভেস্তে গেছে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে। যাত্রী কল্যাণের এই সকল কৃতিত্ব সম্পূর্ণ তাদের। রেলের কোটা বা ভিআইপি গত বছর ছিল, তার আগেও ছিল। এবারও আছে। যতদিন পলিটিক্যাল বা সর্বোচ্চ মহল থেকে নির্দেশ না পাওয়া যায়, ততদিন এই কোটা বহাল থাকবে। কোটার আগেও যে পারসেন্টেজ ছিল, এবারও তাই রেখেছে রেল।
অন্যদিকে এবার টিকিট দেয়ার কথা ছিল ২৫ হাজার। রেল তা বাড়িয়ে করেছে ২৯ হাজার প্রায়। আগে কোটা ছিল, কিন্তু টিকিট যেত সব কালোবাজারির পকেটে। এবারও কোটা আছে, টিকিট পেয়েছে সব প্রকৃত যাত্রী। সার্ভারের প্রচণ্ড চাপে লক্ষ লক্ষ যাত্রীর মাঝে কালোবাজারি নামক অভিশাপ চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। কোন অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা রেগুলার মনিটর করার জন্য সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা রেল সার্ভার এবং সহজের অফিসে নজরদারি করেছে। কাজেই স্বচ্ছতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। সার্ভারের যত সমস্যা, সামনে তা কোনটিই থাকবে না ইনশাআল্লাহ। টিকিটিং সিস্টেমে যাত্রীদের তথ্য সংশোধনের ব্যবস্থাসহ, সকল সমস্যার গ্রহণযোগ্য অংশের বাস্তবায়ন হবেই।
কালোবাজারিরা সুবিধামত যে দুই একটা টিকিট পেয়েছে, তা চেকিং হবে না মর্মে নিশ্চয়তা দিয়ে বিক্রি করছে। কেউ কেউ এডিট করে ভেজাল টিকিট বিক্রি করছে। চেকিং হচ্ছে, কম বা বেশি। কাজেই বিপদে পড়লে সেই ভাইজানকে পাশে পাবেন না। শতভাগ নিশ্চিত ব্ল্যাকারদের দুনিয়া সংকুচিত হয়ে প্রায় জিরো হয়ে গেছে। সামনে একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
কাউন্টার ছিল কালোবাজারিদের স্বর্গরাজ্য। নিশ্চিত থাকুন, সেই রাজ্যে ফিরে যাবার আর সুযোগ নেই। স্মার্ট বাংলাদেশে সব হবে অনলাইনেই। বিনা টিকিটে ট্রেন, ছাদে ইঞ্জিনে ওঠার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে রাখুন। অন্তত ঢাকা, বিমানবন্দর এবং জয়দেবপুরে। দিন বদলে যাচ্ছে। রেল দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। মুফতে সেবা দেয়ার সংস্থাও নয়। রংপুরে আমার গ্রামে প্রতি ঈদে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ৪/৫ টা বাস ভাড়া করে গ্রামে যায়। মাঠে বাসগুলো পড়ে থাকে কয়েকদিন। আসার সময় সবাইকে আবার নিয়ে আসে।
রংপুর শহরে ঢাকা থেকে বিআরটিসির ৩৫০টি লাল বাস যায় প্রতি ঈদে (দ্বিতল বাসসহ)। মুফতে যাবেন, সিটের যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারবে না। সিটে বসতে পারবে না। টয়লেটে যেতে পারবে না। ছাদের যাত্রীর ভারে নতুন কোচ ভেঙ্গে যাবে, এমন বর্বর অরাজকতা শতভাগ দূর করা প্রয়োজন। রেলের শতভাগ সফলতা কামনা করে শভাভাগ কালোবাজারি নিপাত যাবার নিশ্চয়তা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট