চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ‘স্টার্টআপে’র কথা

২৩ আগস্ট, ২০২২ | ৪:২১ অপরাহ্ণ

যখন জার্মানিতে স্টার্টআপ শুরু করতে চাচ্ছিলাম, বাংলাদেশি প্রবাসী শিক্ষার্থীদের একটা গ্রুপে একজনের কমেন্টের কথা মনে পড়লো। সেটি ছিল এরকম- ‘জার্মানি স্টার্টআপের জন্য ভাল না। কোম্পানিগুলো তাদের হেডকোয়ার্টার পরে সরিয়ে নেয়’। একজন কাছের মানুষকে এই ভয়ের কথাটা বলার পর উনি বললেন, ‘বেশিরভাগ মানুষ না জেনে কথা বলে। খোঁজ নিয়ে দেখেন তার নিজের স্টার্টআপ দাঁড় করানোর কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা। নিজের উপর ভরসা রাখেন।’

তারপরের কাহিনীটা আন্দাজ করা কঠিন না। ক্যাম্পাসের সংস্থা স্টার্টআপ ডকের কাছে গেলাম। তারা আমাকে একে একে beyourpilot, Hamburg Port আর Hamburg Innovation এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো। এই সংস্থাগুলো হামবুর্গের স্টার্টআপ কালচারের একটি বড় অংশ। তারাই সব ওয়ার্কশপ, ফান্ডিং, মেন্টরশিপ ইত্যাদির ব্যবস্থা করে থাকে। আমরা Hamburg Innovation Awards-2022 এ আইডিয়া ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেলাম। অফিস পেলাম স্টার্টআপ ডকে। একজন দারুণ মেন্টর পেলাম, যার সঙ্গে রাস্তায় প্রায়ই দেখা হয়ে যায়। আর উনি অবাক হয়ে বলেন, ‘ব্যাপারটা কি বলো তো? আমাদের বারবার দেখা হয়ে যাচ্ছে!’

 

এখন আমাদের স্টার্টআপ ‘Leo+’ Hamburg Invest-এর সহযোগিতাও পাচ্ছে। তারাও ট্রেইনিং, ওয়ার্কস্পেস, ফান্ডিং নিয়ে কাজ করে। অক্টোবর মাসে আমরা থাকছি ফাউন্ডারস ক্যাম্পে, যেখানে বিজনেস মডেল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ৩দিন ব্যাপী ওয়ার্কশপ হবে।

এরপরের টার্গেট হলো ৬ মাসের একটা আইডিয়েশন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা। প্রোগ্রামটা শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপগুলোর জন্য।

 

জার্মানিতে স্টার্টআপ করার খারাপ দিক অবশ্যই আছে। যেমন, এখানে ব্যুরোক্রেসিতে আপনার অনেক সময় চলে যাবে। তারপরও এসব ঝামেলা শেষ হওয়ার পর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- আমরা একে একে হামবুর্গ, জার্মানি, ইউরোপ এবং পৃথিবীতে আমাদের মেন্টাল হেলথকেয়ার সার্ভিস ছড়িয়ে দিতে পারবো ইনশা-আল্লাহ। আমাদের এই অ্যাপ নিয়ে সামনে আরও কথা বলবো।

 

লিখেছেন জার্মানি থেকে

 

পূর্বকোণ/এএস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট