আজ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ‘ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব ‘কঠিন চীবর’ দান উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ দানোৎসব সকলের মধ্যে গড়ে তোলে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি। এই অনুষ্ঠানে মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদেরকে ত্রি-চীবর নামে বিশেষ পোশাক দান করা হয়। বৌদ্ধরা পূণ্যের আশায় প্রতি বছর চীবরসহ ভিক্ষুদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রীও দান করেন।
চার খণ্ডের পরিধেয় বস্ত্র হলো ‘ত্রি-চীবর’। এই পোশাক তৈরি করতে প্রথমে তুলার বীজ বোনা হয়। পরে তুলা সংগ্রহ করা হয়। তা থেকে সুতা কাটা হয়। সেই সুতায় রং করা হয় গাছ-গাছড়ার ছাল বা ফল থেকে তৈরি রং দিয়ে। সবশেষে নানা আচার মেনে এক দিনের ভিতর তৈরি করা হয় এই ত্রি-চীবর। এই পোশাক বোনায় ব্যবহার করা হয় বেইন বা কাপড় বোনার বাঁশে তৈরি ফ্রেম। এরকম বেইনে একসঙ্গে চারজন কাপড় বুনে থাকেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কঠিন চীবর’ দান উৎসব উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় ‘কঠিন চীবর দান’ উদযাপনের মাধ্যমে বৌদ্ধ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধের শান্তির বাণী মানবজাতির কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
পূর্বকোণ/টিএফ