ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ৬২৬ জনকে ভারতে পালিয়ে যেতে কারা সহায়তা করেছে তা জানতে চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের স্বাবলম্বীকরণে বিজিবির সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, সেদিন (৫ আগস্ট) সেনাবাহিনীর যারা অফিসার ও সৈনিক ছিলেন তারা কোর্ট মার্শালকে সামনে রেখে জেনারেলের বিরুদ্ধে গিয়ে ছাত্রজনতার পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তাদের প্রতি আমরা দায়বদ্ধতা অনুভব করি। আপনারা আপনাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে নিশ্চিত করবেন এই ৬২৬ জন যারা ফ্যাসিবাদের অংশ ছিল, যারা এই ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, তাদেরকে কারা ভারতে সেফ এক্সিট করে দিয়েছিল।
ফ্যাসিবাদকে আর কোনরূপে ফিরতে দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, যারাই এখন ফ্যাসিবাদকে প্রমোট করবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। কথা হবে রাজপথে। কখনই আপসে নয়।
সিরিয়ার বাশার আল-আসাদের পতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সিরিয়ায় ৫২ বছর পর যা ঘটেছে বাংলাদেশে ১৬ বছর পর ঘটেছে। বাংলাদেশে আসাদের ফিমেল ক্যারেক্টার হাসিনার পতন ঘটেছে। আমরা যদি ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশটা গড়তে চাই তাহলে একসঙ্গে গড়তে হবে। এজন্য আমরা সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই।
ভারতীয় মিডিয়ার অপ্রচার নিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় ও পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে যেসব থ্রেট করা হচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের কালেকটিভ কাউন্টার প্রোপাগান্ডা সেল চালাতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করার দাবি জানিয়ে হাসনাত বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারটি শেষ করা হয়।
তিনি বলেন, যারা ভারতে চলে গেছে তাদের টাকা-পয়সার কোন অভাব নেই। আমরা যখন পিলখানায় কথা বলছি, এই মুহূর্তে মাদার অব টেরর ভারতে বসে জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অবশেষে এটি আমাদের জন্য লজ্জার।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পিলখানাস্থ বিজিবি সদরদপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আরও ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, লেখক ও গবেষক ফরহাদ মজাহার, মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌস প্রমুখ।
পূর্বকোণ/মাহমুদ