পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পর অনেকে মিথ্যা মামলা করেছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। গণহত্যায় জড়িত না- এমন কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে না।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ সদরদপ্তরের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মামলায় নাম থাকলেই পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার করা হবে না বলে আশ্বাস প্রদান করেন আইজিপি বাহারুল আলম।
আইজিপি বলেন, নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে, প্রতারণা হচ্ছে, ৫ আগস্ট ঘিরে এসব হচ্ছে। পাইকারিহারে গ্রেপ্তার করা যাবে না। নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা পুলিশের কাজ নয়। যদি মামলার আসামি করা হয়, তাকে ধাওয়া করে গ্রেপ্তারে যাবো না।
তিনি বলেন, সরকারও বলছে, কোন নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক মামলা হয়েছে। আসামি অনেক। তাদের অনেকে নিরীহ বলেও গণমাধ্যমে উঠে আসছে। এগুলোকে কেন্দ্র করে অনেকে বাণিজ্য করছেন।
আইজিপি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ প্রতারিত হবেন না। যদি মনে করেন নিজের কোন ইন্ধন বা সংশ্লেষ নেই, তাহলে সরাসরি পুলিশের কাছে আসুন। আমরা বিনা যুক্তিতে বা তদন্ত ছাড়া পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করবো না। মামলা থাকলেই বা নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করতে হবে- আইনেও তা নেই। যুক্তিসংগত কারণ থাকতে হবে যে আপনি জড়িত বা অপরাধী।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা আমার প্রধান দায়িত্ব। পুলিশের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। জনগণের সঙ্গে বিনয়ী ব্যবহার করতে হবে পুলিশকে। সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশকে জনবান্ধব করতে হবে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
আইজিপি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীর কোন ধরনের অপরাধ ছাড় দেওয়া হবে না। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম এবং ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদসহ পলাতক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোথায় আছেন এখনও তা শনাক্ত করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন মহাপরিদর্শক।
পূর্বকোণ/মাহমুদ