চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

খন্দকার মোশতাকের অধ্যাদেশ জিয়ার আমলে আইনে পরিণত হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দেশের সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা ও জওয়ান এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়। পরবর্তীকালে নানা কৌশলে এই হত্যার বিচার আটকে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমনকি খুনিদের পুরস্কৃত করা, দেশ থেকে পালাতে সাহায্য করার মতো ঘটনাগুলোও ঘটেছে। গবেষকরা বলছেন, যারা খুনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছিল, তাদের পরিকল্পনাতেই ছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শকে সমূলে ধ্বংস করবে। যেনো আর কোনোদিন বিচারের নামে বা এই হত্যাকা-ের নামে এই নাম উচ্চারিত না হয়, তার জন্য সব ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছিল।

 

১৫ আগস্ট ১৯৭৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলতুন নেছা মুজিব এবং তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, তাঁর দুই পুত্রবধূ, ছোটভাই, বোনের ছেলেমেয়ে ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং তাঁর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ নিহত হন ২৬ জন। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

 

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে তারই মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। সেই সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে একটি অধ্যাদেশ (রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর-৫০) জারি করে। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ এর অধীন প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে খন্দকার মোশতাক এই অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশটিতে দুটি অংশ আছে। প্রথম অংশে বলা হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবৎ আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোনও আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। দ্বিতীয় অংশে বলা আছে রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবে, তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো।

 

১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সময়ে অধ্যাদেশটি আইন হিসেবে পাস করা হয়। যা ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত হয়।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট