চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

সড়কে কোনো চাঁদা বা সার্ভিস চার্জ তুলতে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সড়কে কোনো রকমের চাঁদা বা সার্ভিস চার্জ তুলতে দেব না। রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভায় এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই মাসের মধ্যে পরিবহণ শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

সড়ক আইনে চালক ও সুপারভাইজারকে মালিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা বারবার বলার পরেও এটা দেওয়া হচ্ছিল না। আগামী দুই মাসের মধ্যে মালিক এবং শ্রমিক যারা আছেন, তারা বসে কখন কীভাবে শুরু করবেন- এটা ঠিক করবেন। এটা বাধ্যতামূলক, আমরা দুই মাস পরে রাস্তায় সেটা চেক করব। নিয়োগপত্র ছাড়া কোনো ড্রাইভার গাড়িতে উঠতে পারবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় কোনো রকমের চাঁদা বা সার্ভিস চার্জ তুলতে দেব না, এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এটা আইজিপিকে জানিয়ে দিয়েছি, তিনি একশনে থাকবেন। পৌরসভাসহ বিভিন্ন ধরনের করও আদায় করা হয়, এগুলোও যাতে স্ট্যান্ড বা টার্মিনাল ছাড়া যত্রতত্র তোলা না হয়- সে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বিআরটিসি কমিটির সিটিং নিয়মিত করতেও বলা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে যাতে সবাই লাইসেন্স আরও সহজে পায় সেটারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ১১১টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে একটি টাস্কফোর্স হয়েছিল, সেই টাস্কফোর্সের আজ (রবিবার) চতুর্থ সভা ছিল। আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, সড়কে যে যানবাহনগুলো চলে সেগুলো অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। এগুলো কতদিন চলতে পারবে তার জন্য বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি কমিটি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। বেসরকারিই শুধু নয়; সরকারি গাড়িগুলোও কীভাবে চলবে, কতদিন চলবে- তা আলোচনা হয়েছে। আমরা দেখেছি, এই গাড়িগুলো এতই পুরনো সারা দেশে চলাচল করে এবং দুর্ঘটনার একটি কারণ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি সব জায়গায় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা আছে। চালকদেরও আমরা ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি। বিআরটিএ যখন লাইসেন্স দিচ্ছে তখনো ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। শুধু লাইসেন্সের সময়ই নয়, আমরা টার্মিনালগুলোতে পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করব। গাড়ি যখন তারা চালাবে, এর আগেই টেস্ট করে চালাবে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত আমরা নিতে যাচ্ছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। বিআরটিএতে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে এটা চালু হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট