চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিসে দুদকের হানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুন, ২০১৯ | ২:১৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে গ্রাহকদের হয়রানি, দালালদের দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এসময় দুদকের অভিযানিক টিম সকল অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্তৃপক্ষ।
গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার এ অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা কাউকে আটক না করলেও অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে এ

বিষয়ে অধিক অনুসন্ধান করতে কমিশন বরাবর আবেদন করেছেন বলেও জানান দুদক কর্তৃপক্ষ।
দুদক জানায়, পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে দালালরা গ্রাহকদের নানাভাবে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছে। এ বিষয়ে ১০৬ এ অভিযোগ পাওয়ার পর দুদকের একটি টিম ঘটনাস্থলে প্রথমে ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। এসময় পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহকরা পাসপোর্ট ফরম পূরণ ও জমা দেওয়ার সময় দালালদের টাকা আদায়, দালালদের দেওয়া সাংকেতিক বিভিন্ন চিহ্ন ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফরম জমা না নেওয়া এবং হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পরে দুদক কর্মকর্তারা পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দালালদের দৌরাত্ম্য ও গ্রাহকদের ভোগান্তির বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দদুক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন এ প্রসঙ্গে পূর্বকোণকে বলেন, ‘১০৬ এ অভিযোগ পাওয়ার পর আমাদের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে দালালদের দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। বিভিন্নভাবে এসব দালালরা গ্রাহকদের হয়রানি করছে। অভিযানে আমরা যেসব প্রমাণ পেয়েছি সেগুলো প্রতিবেদন আকারে কমিশনের কাছে পাঠিয়েছি এবং অধিক তদন্তসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। কমিশন যদি মনে করে তাহলে এসব বিষয়ে আমরা আরও খতিয়ে দেখবো এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’।
এসব কাজ পাসপোর্ট অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে হয়ে থাকে উল্লেখ করে দুদকের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগেও পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহকদের হয়রানির বিষয়ে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ ছিল। আমরা বিভিন্নভাবে যাচাই করে দেখেছি, এর সঙ্গে ওই অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। তাদের কারণেই দালালরা এসব কাজ করতে সাহস পেয়ে থাকেন। কমিশন যদি অনুমতি দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট