খেজুরের গুড় রসের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে চিনি, চুন ও খড়ের পানি মিশিয়ে। এক হাঁড়ি খেজুরের রসের সঙ্গে মেশানো হয়েছে দুই থেকে চার কেজি চিনি, চুন ও খড়ের পানি। আর এসব খেজুরের গুড়কে উচ্চ মূল্যে বাজারজাত করে আসছিল অসাধু গাছিরা।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় বাল্লা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব চিত্র দেখা যায়। অভিযান পরিচালনা করেন হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম।
এসব অভিযোগে উপজেলার ঝিটকা সরদার পাড়া গ্রামের লাল খাঁকে ১০ হাজার, হাবিবুর রহমানকে ৫ হাজার, আকেজদ্দিনকে ৫ হাজার এবং বাল্লা গ্রামের রেহেনা বেগমকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে মোট ২৪ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ভেজাল গুড় ও পাঁচ হাঁড়ি চিনি মিশ্রিত খেজুরের রস নষ্ট করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য বহনকারী হাজারি গুড় ও লাল গুড়ের সুনাম অক্ষত রাখতে ভেজাল গুড় তৈরির বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সহায়তা করেন হরিরামপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলাম এবং হরিরামপুর থানার এএসআই রুহুল আমিনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
পূর্বকোণ/মামুন