বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবি মামলার প্রধান আসমি ‘ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের ঢাকা জোনের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সদরঘাট নৌ পুলিশের একটি দল মধ্যরাতে রাজধানীর কলাবাগানের সোবহানবাগ এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।’
২৯ জুনের ওই লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাত জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- এমভি ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।
বুড়িগঙ্গার লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের মৃত্যুর জন্য ময়ূর-২ নামের লঞ্চটিকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি। কমিটি সদরঘাট থেকে খেয়াঘাট সরিয়ে নেওয়া ও সদরঘাটে লঞ্চ অলস বসিয়ে না রাখাসহ ২০ দফা সুপারিশ করেছে।
তদন্ত কমিটি বলছে, মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ডকে ময়ূর–২ প্রথমে ধাক্কা দিলে লঞ্চটি আড়াআড়ি হয়ে যায়। এরপর লঞ্চটির ওপর ময়ূর-২ উঠিয়ে দেওয়া হয়। কমিটি দুর্ঘটনার জন্য ময়ূর–২ লঞ্চের মাস্টার (চালক) ও সে সময় লঞ্চ চালানোর সঙ্গে যুক্ত অন্যদের প্রধানত দায়ী করেছে।
এদিকে মামলাটি তদন্তে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার।
২৯ জুন মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটিকে বুড়িগঙ্গায় ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চ। এ ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
পূর্বকোণ/পিআর