চট্টগ্রাম সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

রূপালি রঙের ইলিশ

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসেবে পরিচিত ঈষঁঢ়বরভড়ৎসবং গোত্রের ঞবহঁধষড়ংধ গণের সদস্য। এ মাছের দেহ বেশ চাপা ও পুরু। মাথার উপরিতল পুরু ত্বকে ঢাকা। ধাতব রূপালি রঙের শরীর সুবিন্যস্ত মাঝারি আকারের আঁশে আবৃত। দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৬০ সেমি। বড় আকারের ইলিশের ওজন হয় প্রায় ২.৫ কিলোগ্রাম। স্ত্রী মাছ দ্রুত বাড়ে এবং সচরাচর পুরুষ ইলিশের চেয়ে আকারে বড় হয়। ইলিশ দক্ষ সাঁতারু।
এ মাছ ১-২ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির ইলিশ পাওয়া যায়। ইলিশের বিচরণক্ষেত্র ব্যাপক এবং এদের সাধারণত দেখা যায় সমুদ্র, মোহনা ও নদীতে। সমুদ্রে এরা পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, ভিয়েতনাম ও চীন সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
শাতিল আরব, ইরান ও ইরাকের ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস, পাকিস্তানের সিন্ধু, ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীসমূহ, মায়ানমারের ইরাবতী এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় বিভিন্ন নদীসহ পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলি নদী ইলিশের আবাসস্থল। ইলিশ প্রজননের উদ্দেশ্যে স্বাদুপানির স্রোতের উজানে অগভীর পানিতে উঠে আসে এবং ডিম ছাড়ে। মুক্ত ভাসমান ডিম থেকে পোনা বেরোয়।
জাটকা নদীর ভাটিতে নেমে সমুদ্রে পৌঁছে বড় হয়। ইলিশ উচ্চ-উৎপাদনশীল। বড় আকারের একটি ইলিশ ২০ লক্ষ পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে। ইলিশ সারা বছর ডিম পাড়লেও সবচেয়ে কম পাড়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে ও সবচেয়ে বেশি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। দেশের বড় বড় নদীতে জাটকা নামে পরিচিত সমুদ্রগামী অপ্রাপ্তবয়স্ক (৬-১০ সেমি) মাছ প্রচুর ধরা পড়ে।।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট