চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশুদের বিজ্ঞানমনস্ক করার উপায়

অরণ্য আজাদ

২২ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:০৫ পূর্বাহ্ণ

আজকের শিশু, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই একসময় এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে। প্রথম লাইনটি ছোটবেলা থেকে আমরা বিভিন্ন টেলিভিশনের চ্যানেলে শুনে আসছি। কথাটা যে কতটা গুরুত্ব বহন করে তা হয়তো আমরা কল্পনা করতে পারি, কিন্তু কতটা বুঝি? শিশুকে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে তার পরিপূর্ণভাবে বেড়ে উঠাটা জরুরী। আর সেজন্য শিশুর বেড়ে উঠার সময় তার মন যেন হয় কৌতূহলী এবং শেখে যেন মজার মজার খেলার মাধ্যমে আর অবাক করা তথ্যের মাধ্যমে। কারণ কৌতূহলী মনই পারে একটি শিশুর জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে। আর সেখান থেকেই তার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আর যেহেতু ভবিষ্যৎ পৃথিবী বিজ্ঞান নির্ভর তাই বিজ্ঞানের জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।

সাধারনভাবেই শিশুরা অনেক কৌতূহলী হয়ে থাকে। এই কৌতূহলই তাদের নিয়ে যায় নানা রকম অজানা, অবাক করা ও বিস্বয়কর তথ্যের দিকে। বিশ্বকে নতুন করে উদ্ঘাটন করা শিখতে পারে তাদের এই কৌতূহলী আচরণ থেকেই। শিশুদের এই কৌতূহল মনোভাবকে প্রাধান্য দিতে হবে। যতোটা পারা যায় তাদের সকল প্রশ্নের জবাব দিয়ে তাদের বাহবা দিতে হবে। শিশুরা সারাদিন অনেক অনেক প্রশ্ন করে। গবেষণা বলে যে একটি ৪ বছরের শিশু দিনে গড়ে ৪৩৭টি প্রশ্ন করে এবং এখানে বেশিরভাগ প্রশ্ন থাকে, ‘কেন’ কারণে অকারণে প্রশ্ন করা শিশুদের কৌতূহলী আচরণ। এতে রাগ প্রকাশ না করে, তাদের প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে হবে। এর ফলে তাদের মনে জানার আরো আগ্রহ জন্ম নিবে। সেখান থেকেই তাদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ জন্ম নিবে। কারন আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটে তার প্রায় সবকিছুর মাঝেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিজ্ঞান। যখন সে দেখবে তার প্রশ্নের উত্তরগুলোর সবকিছুর মাঝেই বিজ্ঞান মিশে রয়েছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার বিজ্ঞানের প্রতিও আগ্রহ তৈরি হবে।

‘আগ্রহ’ অনেক ছোট একটি শব্দ কিন্তু অনেক বড় অর্থ বহন করে। আগ্রহ না থাকলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। যার আগ্রহ যত বেশি, সে তত বেশি শিখতে পারে। তাই শিশুদের মধ্যে জানার জন্য আগ্রহ তৈরি করতে হবে। আগ্রহ থেকেই কৌতূহলের জন্ম হয়। আর কৌতূহল জানার ইচ্ছাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই একটি শিশুকে বিজ্ঞানমনস্ত বা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করতে হলে তার মাঝে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। শিশুদের আগ্রহ তৈরি করা যায় এরকম অনেক উপায় রয়েছে। এবার দেখে নেয়া যাক আগ্রহ তৈরি করা যায় এমন কিছু উপায়:

১। শিশুদেরকে প্রতি মাসে একবার হলেও কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ঘুরতে গেলে শিশুরা প্রকৃতির নানা রূপ দেখতে পাবে। পরিবেশের সব রকম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। তাদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন আসবে। যেমন: ফুলের পাপড়ি বিভিন্ন রঙে রঙিন হয় কিন্তু পাতাগুলো কেন সবসময়ই সবুজ? অথবা দিনের বেলা আকাশ নীল কিন্তু রাতে কেন কালো হয়!
২। শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ছোটদের জন্য লেখা অনেক বই রয়েছে। সেই সব বই পড়ে তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। যেমন: সায়রা সায়েন্টিস্ট, বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা, তাহারা ইত্যাদি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক গল্পের বই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট