চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

আছড়ে পড়লো দৈত্যাকার ‘এমটি আটবন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৬:৪৭ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ড উপকূলে আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় সর্বোচ্চ বেগে আছড়ে পড়েছে ৪৮ হাজার ১০০ টন ওজনের একটি খালি জাহাজ। ১৯৯৫ সালে জাপানে তৈরি ‘এমটি আটবন’ জাহাজটির এটিই শেষ গন্তব্য। জাহাজটি ব্যবহৃত হত সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) পরিবহনের কাজে। আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচিং মাস্টার ক্যাপ্টেন মোবারকের তত্ত্বাবধানে জাহাজটি শিপ ইয়ার্ডে আনা হয়। শীতলপুরের গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের ইয়ার্ডে আগামী ৮ মাস চলবে জাহাজটির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে নেয়ার কাজ। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ, বিভিন্ন পুরুত্বের লোহার পাত, লোহা ও প্লাস্টিকের পাইপ, আসবাবপত্র, ক্যাবল বা বৈদ্যুতিক তার, জাহাজের ইঞ্জিন, জেনারেটর, সিঁড়ি, তৈজসপত্র, স্যানিটারি আইটেমসহ অর্ধশতাধিক পদের পণ্য মিলবে এ জাহাজে।

 

আছড়ে পড়া জাহাজটির বিভন্ন দিক তুলে ধরে গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম জানান, ‘এমটি আটবন’ জাহাজটির আগে নাম ছিল ‘এমটি ওয়াটবন’। এটির দৈর্ঘ্য ৩৪০ মিটার, প্রস্থ ৫৬ মিটার, উচ্চতা ১১ দশমিক ৪ মিটার। জাহাজটির তেল পরিবহন ক্ষমতা ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার টন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ জাহাজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চারদিন আগে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এরপর বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদর, কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তরের পরিদর্শন, ছাড়পত্র ও ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধের পর জাহাজটি বিচিং করা হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জাহাজটি আমদানি বাবদ ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছি সরকারি কোষাগারে। তরুণ এ শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা শিল্প নিয়ে একসময় নেতিবাচক প্রচারণা ছিল দেশে-বিদেশে। ম্যাগনেটিক ক্রেনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে উন্নত প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহারসহ নানা উদ্যোগের কারণে এ শিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। ইতিমধ্যে পিএইচপি শিপইয়ার্ড গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। আশাকরছি আমরা এক-দেড় বছরের মধ্যে গ্রিন ইয়ার্ডর স্বীকৃতি পাবো। এ লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।

তিনি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’ জাহাজ কাটা হয়েছে আমাদের ইয়ার্ডে। একসময় প্রচুর শ্রমিক কাজ করতেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমে কমছে। বর্তমানে ইয়ার্ডে চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

 

 

 

পূর্বকোণ/ময়মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট