চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ক্যাসিনোর টাকার নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে

বান্দরবান বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কেউ ক্যাসিনো চালাতে পারে না। একে তো তারা আইন মানলো না, আবার হচ্ছে এটা সামাজিক এবং ধর্মীয়ভাবে অবৈধ। সামাজিক জীবনে এটার নেতিবাচক প্রভাব আছে। ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত অর্থের একটা অর্থনৈতিক দিক আছে। এটার চাহিদা আরো বাড়তে থাকবে। এই টাকা শুধু ক্যাসিনোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তখন ইয়াবা, অস্ত্র ও গ্রুপিং এর কাজে এই অর্থ ব্যবহার হবে এবং এই টাকা বিদেশে পাচার করা হবে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতি। চলমান অভিযান সম্পর্কে দৈনিক পূর্বকোণের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানালেন বান্দরবান বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এফ ইমাম আলী।

তিনি আরো বলেন, যেখানে অর্থই হচ্ছে মূল চালিকা শক্তি। তাই তারা মনে করে যে, আমরা যে কোন ভাবে যদি অর্থ আয়ত্ব করতে পারি, তাহলে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। প্রথমে তারা সামান্য চেষ্টা করেছে, তারপর আরেকটু বৃদ্ধি করেছে। এভাবেই তারা এটাকে সম্প্রসারণ করেছে। যখন সরকার দেখলো যে এটা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে, সরকার ভাবলেন এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার এখনই উপযুক্ত সময়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে এটার একটা নেতিবাচক দিক আছে সেটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। অন্যটি হচ্ছে তারা ক্রমান্বয়ে শন্তিশালী হচ্ছে, সামাজিকভাবে একটা বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর কারণে সরকার এ অভিযান শুরু করেছে।

এসব কিভাবে দূর করা যাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, এটাকে যে রাতারাতি দূর করা যাবে তা না। এটা দূর করতে হলে সরকারকে খুব স্ট্রং একশনে যেতে হবে। সহজে টাকা উপার্জনের জন্য ভবিষ্যতে যারা এপথে আসার চেষ্টা করছে, তারা এখন ভাববে। কোন গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করা, গড ফাদার হওয়া, যা ইচ্ছে তাই করা, টেন্ডারবাজি করা, চাঁদাবাজি করা, মানুষের উপর অত্যাচার করা, এসব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মানুষ একটি আইনের সমাজ এবং সভ্য সমাজ দেখতে চাই। যেখানে প্রত্যক নাগরিক সমাজের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে। আর সম্পদের যে অসম বিন্যাস, কিছু লোকের হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে যাচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে দারিদ্র সীমার নিছে ২১ শতাংশ লোক রয়েছে। এদের উপরে উপরে তোলায় হচ্ছে আমাদের কাজ। সরকারের দায়িত্ব নিচের মানুষগুলোকে উপরে তোলা। কয়েকজন বড় লোক হলে দেশকে বড় করা যায় না।

ক্লাবের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়া বান্ধব সরকার। বর্তমানে ক্লাবগুলোর মধ্যে যেসব স্বার্থন্বেষী মানুষ যোগ দিয়েছে তাদের বের করা এবং ক্লাবের আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা অনেক কষ্টের কাজ। তারপরও এদেশে ভালো মানুষ আছে। আশা করি তারা এগিয়ে আসবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট