চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নির্বাচনী বিতর্কে ব্রেক্সিট নিয়ে বাহাসে জনসন-করবিন

২১ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচার চলাকালে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির দুই শীর্ষ নেতা ব্রেক্সিট নিয়ে একে অপরের সঙ্গে বাহাসে জড়িয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে চলমান ‘জাতীয় দুর্ভোগের পরিসমাপ্তির’- প্রতিশ্রুতি দিয়ে টোরি নেতা, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, বিরোধী লেবাররা এ বিষয়ে ‘কেবল বিভেদ ও অচলাবস্থার’ প্রস্তাব দিচ্ছে।

পাল্টা উত্তরে বিরোধী দল লেবারের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, লেবাররা ব্রেক্সিটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ‘ব্রিটিশ জনগণের হাতে তুলে দিতে চায়’।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আইটিভির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কে দুই নেতা দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস), আস্থা ও নেতৃত্ব, স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ এবং রাজপরিবার নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। তবে মঙ্গলবারের এ বিতর্কের প্রথমার্ধের বেশিরভাগ জুড়েই ছিল ব্রেক্সিট।

কনজারভেটিভ পার্টির নেতা জনসন ১২ ডিসেম্বরের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চান, এর মাধ্যমে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে তার সমঝোতার চুক্তিটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস করে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দেশকে ইউরোপের জোট থেকে বের করে আনতে এবং ব্রাসেলসের সঙ্গে একটি স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী।

করবিন জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি জনসনের করা চুক্তিটি ছিড়ে ফেলে ইইউ’র সঙ্গে স্বতন্ত্র জোট ও একক বাজার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের একটি চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি করবেন; এরপর সেই চুক্তির ব্যাপারে জনগণের সম্মতি নিতে নতুন আরেকটি গণভোট দেবেন।
ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা- এনএইচএসের পরিণতি নিয়ে দুই নেতা তুমুল তর্কে জড়ান। করবিন টোরি নেতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, “আপনি আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাকে যুক্তরাষ্ট্র ও বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে চাইছেন।” যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ নিয়ে ‘বেশ কয়েকটি গোপন বৈঠকের’ সম্পাদিত বিবরণও উত্থাপন করেন তিনি। সেসব বিবরণে কনজারভেটিভ সরকার ‘এনএইচএসে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যসামগ্রীর পূর্ণাঙ্গ প্রবেশাধিকারের’ প্রস্তাব দিয়েছে বলেও অভিযোগ তার।

এর উত্তরে জনসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এনএইচএস তুলে দেওয়ার এ অভিযোগ লেবারদের ‘পরম আবিষ্কার’। কোনো অবস্থাতেই এ সরকার কিংবা কোনো কনজারভেটিভ সরকারই এনএইচএসকে বাণিজ্য দরকষাকষির টেবিলে তুলবে না।

ব্রেক্সিট ভবিষ্যতে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে কিনা- এ নিয়েও তর্কে জড়ান দুই নেতা। টোরি শীর্ষ নেতার দাবি, এসএনপির সমর্থন পেতে লেবাররা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে আরেকটি গণভোটের প্রস্তাবে রাজি হতে পারে। স্কটিশদের সমর্থন পেতে তিনি অন্তত এ মূল্য চুকাতে রাজি নন, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট