চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ট্রাম্পের সুর বদল ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:২৫ পূর্বাহ্ণ

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনভাবেই আলোচনায় বসবে না, সেটা যেকোনো পর্যায়ের হোক।

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সম্প্রতি সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার অভিযোগে ইরানের প্রতি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়ার এক দিনের মাথায় সুর বদলে ফেলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ওই হামলায় জড়িত থাকলেও, তিনি কারো সঙ্গে যুদ্ধ চান না বলে জানিয়েছেন।

গত সোমবার হোয়াইট হাউজে বাহরাইনের যুবরাজ সালমান বিন হামাদ বিন ইসা আল-খলিফার সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ট্রাম্প। এর একদিন আগেই গত রোববার এক টুইট বার্তায় সৌদি হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র রণসাজে প্রস্তুত বলে হুমকি জানান তিনি। পরের দিন সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলেই তার প্রশাসনের ধারণা। কিন্তু, এ ব্যাপারে তিনি আরও নিশ্চিত হতে চান। একই সঙ্গে এর প্রতিক্রিয়ায় যে কোনো ধরনের যুদ্ধও এড়াতে চান বলে জানান তিনি। ‘আমরা এরই মধ্যে অনেকটা নিশ্চিত যে, ইরান ওই হামলা চালিয়েছে। তারপরও আরও নিশ্চিত হতে চাই। খুব শিগগিরই আপনারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমরা প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। কিন্তু, এসব সত্ত্বেও নিঃসন্দেহে আমরা যুদ্ধ এড়াতে চাই।’ ‘আমি কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, কিন্তু যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরাই এ ব্যাপারে যে কারো চেয়ে বেশি প্রস্তুত’, বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সৌদি স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আরব বিশ্বের আরও অনেক মিত্র দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছে বলে জানান ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ফ্রান্স, জার্মানিসহ আরও অনেকের চিন্তাভাবনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরপর ট্রাম্প নিজের ‘চিরাচরিত ঢঙে’ বলেন, তবে এটা একটা বিশাল হামলা। আর আমরা খুব সহজেই এর চেয়েও অনেক বড় হামলা চালাতে পারি। এদিকে ট্রাম্পের সংবাদ সম্মেলনের কিছু আগে এক টুইট বার্তায় তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাইক এসপার জানান, সৌদি হামলার জবাব দিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রস্তুত হচ্ছে। গত শনিবার সৌদি আরবে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা ও তেল খনিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে। শুধু তাই নয়, এর জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র রণসাজে প্রস্তুত বলে জানান ট্রাম্প।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট