যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ব্যাপক হামলার একদিন পর আবার ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থানস্থলে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একে বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ফলোআপ অ্যাকশন বলে অভিহিত করেছে যডুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজে হুতিদের হামলার সক্ষমতা নস্যাৎ করে দেয়াই এই হামলার উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, ১৯শে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর এবং অ্যাডেন উপসাগরে কমপক্ষে ২৮ বার বিভিন্ন নৌযানে হামলা এবং তাদেরকে হয়রান করেছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। তবে তাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলাকে জবাব না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে না বলে সংকল্প ব্যক্ত করেছে হুতিরা। শুক্রবার ওই হামলায় ইয়েমেনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেখানে জনগণকে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পতাকার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সর্বশেষ ইয়েমেনে হামলা চালানো হয়েছে একটি রাডার স্থাপনায়। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র। টমাহক হলো স্থল হামলায় ব্যবহৃত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।
এটি পরিচালিত হয় জিপিএস ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগ বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ইচ্ছেমতো উড়ানো যায়। এর পাল্লা অনেক দীর্ঘ। প্রাথমিকভাবে এটি ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এবং রয়েল নৌবাহিনী তাদের জাহাজে। অল্প উচ্চতায় এই ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত গতিতে ছুটে যেতে পারে। ১৯৯১ সালে পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধে প্রথম এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে উইল ভারনন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলছে হুতিদের এই রাডার স্টেশন তাদের নতুন টার্গেট এমন নয়। এটা ছিল বৃহস্পতিবারের হামলার পর একটি ফলোআপ অ্যাকশন। হুতিরা যদি হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে এর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওদিকে নতুন করে এসব হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যে হামলা চালানো হয়েছে, নিশ্চয়ই এই হামলা তার কাছাকাছি ছিল না। ওই রাতে হুতিদের নিয়ন্ত্রিত ৩০টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে হামলাকে সফলতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন জো বাইডেন।
ওদিকে হামলার পর ইয়েমেনের রাজধানী সানা’য় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতভর হামলার পর শুক্রবার হাজার হাজার হুতিসমর্থক রাজধানীতে নেমে পড়েন। তারা এ সময় যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য খতম যাক স্লোগান দিতে থাকেন। আজ শনিবার আরও প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর