চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সিত্রাং যে উপকার করল ভারতের

অনলাইন ডেস্ক

২৭ অক্টোবর, ২০২২ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে গত ৮ বছরের মধ্যে এবার দীপাবলীর পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল সবচেয়ে কম।

দীপাবলী ঘিরে বায়ুদূষণ কমাতে এ বছর দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকেও নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। বাজি পোড়ানো, মজুত এবং বিক্রির ওপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু দীপাবলীর পরের দিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আতসবাজি পোড়ানোর ঘটনায়, ফের দূষিত হয় দিল্লি বাতাস। তবে এই দূষণ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম ছিল।

ভারতের সেন্ট্রাল পলিউশন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দিল্লিতে সকাল সাড়ে ৬টার সময় একিউআই ছিল ৩২৩। ওই দিন বিকেল ৪টার সময় ছিল ৩০৩। ২০১৫ সালের পর দীপাবলির পরের দিন এটাই সর্বনিম্ন।

একিউআই ২৫১ থেকে ৩৫০-র মধ্যে থাকলে বাতাসের মান ‘খারাপ’ বলা হয়। সেই হিসেবে দীপাবলির পরের দিন দিল্লি বাতাস যে খারাপ ছিল, তা নিশ্চিত। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় তা কম ছিল।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর দূষণ কম থাকার পেছনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাব রয়েছে। সিত্রাং বাতাসের আর্দ্রতাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলে পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, সিত্রাং যখন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হয়েছে, তখন এটি ভারতের বায়ুপ্রবাহকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আর্দ্রতা কমে যায়। এর ফলে উত্তর ভারতে পশ্চিমাবায়ু প্রবাহ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে দূষণের মাত্রা কমে যায়।

বলা হচ্ছে, সিত্রাং ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানলে এবং উত্তর-পশ্চিমে ছত্রিশগড়ের দিকে অগ্রসর হলে দিল্লিসহ উত্তর ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। এতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতো এবং এই পরিস্থিতিতে দূষণমাত্রা আরও বেড়ে যেত। শুধু দিল্লি নয়, কলকাতাসহ ভারতের অন্য শহরগুলোতেও বায়ুদূষণ কমাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট